রামের পাশে দাঁড়িয়ে কন্নড়ভূমে শূন্য বাম! কর্ণাটকে সিপিএমের ভাগ্য নোটার থেকেও শোচনীয়!

কংগ্রেসের ভোট কেটে অনেক আসনে বিজেপিকে জেতাতে চেয়েছিল সিপিএম। মানুষ সেটা ধরে ফেলাতেই কর্ণাটকে এই বিপর্যয় বামেদের।

কন্নড়ভূমের ফলাফলে উচ্ছাস প্রকাশ করলেও বিজেপির(BJP) পাশাপাশি ধরাশায়ী সিপিএম (CPM)। বাংলার পর এবার কর্ণাটকেও শূন্য বামেরা। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে লাফালাফি করছে। এবার কর্ণাটকে (Karnataka)চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। জয় তো পায়নি, বরং জামানত গিয়েছে। সার্বিকভাবে নোটার থেকেও ভোট শতাংশে পিছনে লালেরা। এমনকী, একসময়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাগেপল্লি আসনেও তৃতীয় স্থানে বাম প্রার্থী। মুখ ফিরিয়েছে বাগেপল্লির ভোটাররাও। বাংলার জোটসঙ্গী কংগ্রেস কর্নাটকে এত ভালো ফল করলেও কেন হারিয়ে গেল বামেরা? রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার কাটাছেঁড়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, বিজেপিকে সুবিধা পসিয়ে দিতে এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে হারাতে কর্ণাটকে তৎপর ছিল বামেরা।

কিন্তু সে গুড়ে বালি! নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বাগেপল্লি আসনে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৮২ হাজার ১২৮টি ভোট। দ্বিতীয় স্থান থাকা বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৬২ হাজার ২২৫ ভোট। সেখানে সিপিএমের ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ১৯ হাজার ৪০৩টি ভোট। বাগেপল্লির ভোটারদের মন জয় করতে ব্যর্থ সিপিএমের অনীল কুমার। অনেকেই মনে করছেন, কংগ্রেসের ভোট কেটে এই আসনে বিজেপিকে জেতাতে চেয়েছিল সিপিএম। মানুষ সেটা ধরে ফেলাতেই এই বিপর্যয় বামেদের।

প্রসঙ্গত, এর আগে তিন তিনবার কর্নাটকের এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিল সিপিএম। ২০১৮ সালেও এই আসন থেকে ৩১.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেখানে এবার অনীল কুমারের ঝুলিতে মাত্র ১১.৩২ শতাংশ। এই আসনে অনীল কুমারকে সমর্থন জানিয়েছিল জোটসঙ্গী সিপিআই এবং জেডিএস। কিন্তু গো-হারা সিপিএম!

বাগেপল্লি ছাড়া কে আর পুরা (বেঙ্গালুরু আর্বান), গুলবর্গা রুরাল এবং কেজিএফ আসনগুলিতে লড়েছিল সিপিএম। এই তিন আসনে দু’হাজার ভোটও জোটেনি বামেদের। অর্থাৎ তিন আসনেই ধরাশায়ী।

 


 

Previous article৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ফের আদালতে চাকরিহারারা
Next articleচেন্নাইকে ৬ উইকেটে হারাল কেকেআর, দুরন্ত ইনিংস নীতীশ-রিঙ্কুর