একবালপুর-খিদিরপুরে বেআইনি নির্মাণ বাম আমলে, স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে তোপ মমতার

একবালপুর এবং খিদিরপুর অঞ্চলে বেআইনি নির্মাণ ২০১১ সালের আগে হয়েছে। বেআইনি কাজ করে এখন ভেজা বিড়াল হয়ে রয়েছে সিপিএম। মঙ্গলবার, একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় গিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুটি পরিবারকেই আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। খিদিরপুর-একবালপুর (Khidirpur-Ekbalpur) এলাকায় বেআইনি বিদ্যুতের হুকিং হওয়ার প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে- সাংবাদিকদের এই কথার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা বেআইনি বাড়ি তৈরি করছে, তাদের ভাবা উচিত বাড়িটি ভেঙে পড়লে তাদের বাড়ির লোক আগে আহত হবে।”

এরপরেই বিগত বাম জমানার বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একবালপুর এবং খিদিরপুর অঞ্চলে যে সব বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, সেগুলি তাঁদের সময়কালে হয়নি। সব ২০১১ সালের আগে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এগুলি সব সিপিএমের আমলে তৈরি হয়েছে। বেআইনি কাজ করে এখন ভেজা বিড়াল হয়ে রয়েছে- তীব্র কটাক্ষ মমতার। তিনি বলেন, যদি সব খতিয়ে দেখা হয়, তদন্ত হয়, তাহলে অনেক কিছু বেরিয়ে যাবে। বাম আমলে বন্দর এলাকায় এমন ভাবে নির্মাণ হয়েছে যে দমকল যাওয়ার জায়গা নেই। সেই জন্য মোটরসাইকেলে ফায়ার ব্রিগেড ফোর্স তৈরি করতে হয়েছে। ঠিকা অ্যাক্ট পরিবর্তন হয়েছে। মমতা বলেন, এখন বস্তি এলাকায় যাঁরা নতুন করে বাড়ি তৈরি করছেন, তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। সঠিকভাবে যাতে নির্মাণটি হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। যাতে কোনও অঘটন না ঘটে এবং দুর্ঘটনার শিকার না হন।

এই ধরনের ঘটনা রোধে বুধবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং কলকাতা পুরসভার মেয়রের পাশাপাশি সিইএসসি-র প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

আরও পড়ুন- চলতি মাসেই নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে মোদি

 

 

Previous articleচলতি মাসেই নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে মোদি
Next articleহাসতে ভুলেছে জাপান, বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন দেশবাসী