আদানি গোষ্ঠীর তদ*ন্ত নিয়ে ভিন্ন মত সেবি ও অর্থমন্ত্রকের, মোদিকে তো*প বিরোধীদের

এবার কি হিন্ডেনবার্গ নিয়ে আরও ৬ মাস সময় দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ দিচ্ছে সেবি? ততদিনে দেশে নির্বাচনের আবহ চলে আসবে এবং দেশের বৃহত্তম দুর্নী*তির কথা চাপা পড়ে যাবে।

অর্থমন্ত্রক(finance ministry) বলছে নিয়ম মেনে আদানি গোষ্ঠীদের(Adani group) বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে সেবি(SEBI)। অন্যদিকে আদালতে সোমবার সেবির দাবি করেছে, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনও তদন্ত করা হয়নি তাদের তরফে। পরস্পর দ্বিমুখী এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার(Modi Govt)।

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই, আয়কর দপ্তর, ডিআরআই অথবা সেবি কোনও তদন্ত করছে কিনা লোকসভায় জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর এই প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ চৌধুরী জানান, ” আইন মেনে চলা সম্পর্কিত কতকগুলি বিষয় নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সেবি। এছাড়াও আদানি গোষ্ঠীর কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ডিআরআই।” এরপরই পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গেল সেবিকে। সোমবার শীর্ষ আদালতে সেভি জানায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করেনি তারা। এই ঘটনায় মোদি সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় ভুল তথ্য পেশ করার অভিযোগও তোলে বিরোধী শিবির।

এরইমধ্যে আবার অর্থমন্ত্রকও জানিয়েছে, লোকসভায় দেওয়া জবাবের অবস্থানেই রয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, “২০২১ এর ১৯ জুলাই লোকসভায় ৭২ নম্বর প্রশ্নের জবাবের অবস্থানেই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগ ও দপ্তরের থেকে তথ্য নিয়েই এই জবাব দেওয়া হয়েছিল।” এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের বক্তব্য, “বিগ বসের পরামর্শে আদানি গোষ্ঠী যখন সেবি, ফেরা আইন ভঙ্গ করেছে, সেই সময় ঘুমিয়েছিল তারা। এবার কি হিন্ডেনবার্গ নিয়ে আরও ৬ মাস সময় দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ দিচ্ছে সেবি? ততদিনে দেশে নির্বাচনের আবহ চলে আসবে এবং দেশের বৃহত্তম দুর্নীতির কথা চাপা পড়ে যাবে।”

শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টুইটারে লিখেছেন, “আদানি মামলা জুলাই মাস পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেবি ৬ মাস চেয়েছিল। কোনওভাবে তারা ২ মাসের স্বস্তি পেয়েছে। তারমধ্যে সেবিকে বাসের চাকার নিচে ফেলে দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ২০২১ সালে ১৯ জুলাই প্রশ্নের জবাবে উল্লেখিত বক্তব্য ধরে রেখেছে অর্থমন্ত্রক। প্রশ্ন হল, কে কার স্বার্থে মিথ্যা বলছে?” কেন্দ্রীয় সরকারের লোকসভায় দেওয়া জবাব এবং সুপ্রিম কোর্টে সেবির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগেরই তদন্ত করছে না তারা। এটা খুবই খারাপ ব্যাপার। সংসদে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।” একইসঙ্গে টুইটারে তিনি লেখেন, “যেভাবে কুকুর ছানা গাড়ির নিচে পড়ে যায়, মনে হচ্ছে সেবিকে একইভাবে বাসের নিচে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে মাত্র ২২ বছরের একজন কনিষ্ঠ আধিকারিক সুপ্রিম কোর্টে সেবির হয়ে হলফনামা দিয়েছেন। ”

 

 

Previous articleক্রিকেটের এই দুই জিনিস জীবনের শেষ মুহূর্ত পযর্ন্ত মনে রাখতে চান গাভাস্কর
Next articleজর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এ ‘স্কিল ফেয়ার ২০২৩’