বিশ্বাসই কাল! মোদিরাজ্যে বিজেপি সাংসদের অ.ত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আ.ত্মঘাতী চিকিৎসক

ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। গুজরাটে বিজেপি সাংসদের এমন দাদাগিরিতে বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

দীর্ঘ ২০ বছরের পরিচয়। আর সেই পরিচয় সূত্রেই প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) ঋণ (Loan) হিসাবে দেওয়া। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়া তো দূর, টাকা ফেরত চাইলেই জুটত চরম অত্যাচার। আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই এবার আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক চিকিৎসক (Doctor)। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল গুজরাটের (Gujrat) বিজেপি সাংসদের (BJP MLA) বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। গুজরাটে বিজেপি সাংসদের এমন দাদাগিরিতে বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

পুলিশ সূত্রে খবর, গুজরাটের জুনাগড়ের বিজেপি সাংসদ রাজেশ চুদাসমা এবং তাঁর বাবা অতুল ছাগ নামের এক জনৈক চিকিৎসকের কাছে দফায় দফায় প্রায় পৌনে দু’কোটি টাকা ঋণ হিসাবে নেন। তবে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ ২০ বছরের চেনা জানা থাকায় সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ এবং তাঁর বাবাকে টাকা ধার হিসাবে দেন চিকিৎসক। কিন্তু সেই বিশ্বাসই জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনল চিকিৎসকের। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসক অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর বাবার কাছে টাকা ফেরত চাইলেই শুরু হয় চরম অত্যাচার।

অভিযোগ, দিন যত গড়াতে থাকে সেই অত্যাচারের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরে বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ওই প্রবীণ চিকিৎসক আর অত্যাচার সহ্য করতে পারেননি। শেষে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে আত্মহত্যার আগে নিজের সুইসাইড নোটে বিজেপি সাংসদের নাম লিখে যান ওই চিকিৎসক। আর সেই সুইসাইড নোট হাতে পাওয়ার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মৃত চিকিৎসকের ছেলে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে শেষমেশ বাধ্য হয়ে গুজরাট হাই কোর্টের (Gujrat High Court) দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসকের ছেলে। তবে আদালতেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে পুলিশ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

 

 

Previous article১৩ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান
Next articleপ্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়েতেই বেশি বিচ্ছেদ: পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের