সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রীর নাম জল্পনার মাঝেই ঘোলাজলে মাছ ধরছে লিঙ্গায়েতরা

কন্নড়ভূমে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসা ১৩৫ আসনের মধ্যে ৩৪ জন লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। তাই তাঁদের সম্প্রদায় থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক

দক্ষিণ ভারত বিজেপি মুক্ত করে কর্ণাটকে বিপুল জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ম্যাজিক ফিগার ১১৩ পেরিয়ে অনেক আগে ১৩৫ আসন দখল করেছে সোনিয়া-রাহুলের দল। কিন্তু সাফল্যের পরও স্বস্তিতে নেই কংগ্রেস। কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন?‌ সিদ্দারামাইয়া না ডিকে শিবকুমার। হাতে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন নয়, ট্র্যাডিশন মেনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ হাত শিবির।

আরও পড়ুনঃশিবকুমার মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেলে কর্ণাটকে ফের “অপারেশন লোটাস”র পরিকল্পনা বিজেপির

মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই জোরালো দাবিদারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। শিবকুমার যেমন বৈঠকে খাড়গেকে বলেই দিয়েছেন, “আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করুন।” আবার বেশিরভাগ বিধায়কের হাত সিদ্দারামাইয়ার দিকে। আজ,বুধবারও দু’‌জনের সঙ্গে বৈঠক করবেন খাড়গে। তাই দু’‌জনকেই দিল্লিতে থাকতে বলা হয়েছে। শেষপর্যন্ত হয়তো আসরে নামতে হবে সোনিয়া গান্ধীকেই।

এরই মাঝে আবার ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে রাজ্যের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন বীরশিব মহাসভা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসুক এই সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধি, এমনটাই দাবি বীরশিব মহাসভার। তাদের যুক্তি, কন্নড়ভূমে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসা ১৩৫ আসনের মধ্যে ৩৪ জন লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। তাই তাঁদের সম্প্রদায় থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলিত সম্প্রদায়ের নেতা নব নির্বাচিত বিধায়ক জে পরমেশ্বর। আবার উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দাবি করেছে মুসলিম বিধায়করা। অন্যদিকে, হেরে গিয়েও “অপারেশ লোটাস”-এর স্বপ্ন দেখছে বিজেপিও। সব মিলিয়ে কর্নাটকে নতুন সরকার গঠনের আগে জমজমাট নাটক। কংগ্রেস হাইকমান্ড কীভাবে বিষয়টি সামাল দেয়, এখন সেটাই দেখার।

 

Previous articleশিবকুমার মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেলে কর্ণাটকে ফের “অপারেশন লোটাস”র পরিকল্পনা বিজেপির
Next articleশিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকের পরও কাটল না জট! কে বসবেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে?