শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেলে কর্ণাটকে ফের “অপারেশন লোটাস”র পরিকল্পনা বিজেপির

দেশজুড়ে বিজেপির ঘুরপথে এমন সরকার ভাঙা-গড়ার খেলা নতুন নয়। উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই নাম উঠে আসবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। সংগঠনে দক্ষ এই নেতা কংগ্রেস ছেড়ে মোদি-শাহদের হাত ধরে এখন বিজেপির দোর্দন্ডপ্রতাপ মুখ্যমন্ত্রী

কন্নড়ভূমে ডাহা ফেল মোদি ম্যাজিক। ভোটে ভরাডুবির পর দক্ষিণের একমাত্র রাজ্য থেকেও ক্ষমতাচ্যুত বিজেপি। শুধু জয় নয়, কর্ণাটক বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১১৩ পেরিয়ে অনেক এগিয়ে সোনিয়া-রাহুলের দল ১৩৫। কংগ্রেসের এই হয় চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। কিন্তু এখনও কর্ণাটকে সরকার গড়ার আশা ছাড়ছে না বিজেপি। সৌজন্যে “রীতি” মেনে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ঘোড়া কেনাবেচার।

আরও পড়ুন:দিল্লি যাচ্ছেন শিবকুমারও,কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে? আজই কী ঘোষণা

কর্ণাটকে কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? “টোটাল কংগ্রেস ম্যান” তথা প্রদেশ সভাপতি দক্ষ সংগঠক ডি শিবকুমার নাকি প্রাক্তন জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী অভিজ্ঞ সিদ্ধারামাইয়া? আজ বুধবার বেঙ্গালুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। যদি শিবকুমারের ভাগ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ না জোটে তারপরই কোমড় বেঁধে মাঠে নেমে পড়বেন বিজেপির অপারেশন ম্যানেজাররা। শুরু হবে
“অপারেশন লোটাস”!

দেশজুড়ে বিজেপির ঘুরপথে এমন সরকার ভাঙা-গড়ার খেলা নতুন নয়। উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই নাম উঠে আসবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। সংগঠনে দক্ষ এই নেতার নাম অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনওদিন ভাবেইনি কংগ্রেস হাইকমান্ড। কংগ্রেস ছেড়ে মোদি-শাহদের হাত ধরে এখন তিনি বিজেপির দোর্দন্ডপ্রতাপ মুখ্যমন্ত্রী। শুধু অসম নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব জুড়ে বিজেপির হয়ে কলকাঠি নাড়ার মূল কারিগর এই হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এরপর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ের পর ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি তিনিই পাবেন। হাইকমান্ড ভরসা রেখেছিল প্রবীণ নেতা কমলনাথের উপর। নিট ফল, ২০২০ সালের মার্চে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটান জ্যোতিরাদিত্য। লড়াই চলছে রাজস্থানেও। মহারাষ্ট্রের উদাহরণ একনাথ শিন্ডে।

কর্ণাটকেও যদি এমন ঘটে, যদি শিবকুমার বিদ্রোহ করেন যখন-তখন বিদ্রোহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যদি বড় অংশের বিধায়কদের শিবকুমার কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে আনতে পারেন, তবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে সমর্থন করবে বিজেপি। টোপ দেওয়া হবে জেডিএসকেও। অর্থাৎ ফের জোট গড়ে পিছন দরজা দিয়ে কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। তবে শিবকুমার অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। তিনি ত্যাগ করতে জানেন। তাই বিজেপির সুড়সুড়িতে এক্ষেত্রে খুব একটা কাজ হবে বলে মনে হয় না।

 

Previous article‘ববিতার মতো পরিণতি হবে না তো?’ ‘প্রশ্নই নেই’ বললেন অনামিকার স্বামী
Next articleসিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রীর নাম জল্পনার মাঝেই ঘোলাজলে মাছ ধরছে লিঙ্গায়েতরা