‘ববিতার মতো পরিণতি হবে না তো?’ ‘প্রশ্নই নেই’ বললেন অনামিকার স্বামী

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করছিলেন তিনি।তারপর কেটে গিয়েছে এক বছর। কিন্তু শিক্ষকতা করার সময় বেশিদিন স্থায়ী হল না তাঁর।ভুল তথ্য দেওয়ায় ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাঁর জায়গায় চাকরি দিতে হবে অনামিকা বিশ্বাসকে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। স্ত্রীর এই সাফল্যে খুশি শুভজিৎ বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “খুবই আনন্দ হচ্ছে। এই লড়াইয়ে প্রথম থেকেই অনামিকার পাশে ছিলাম। ও চাকরি পাওয়ায় আমি খুব খুশি।”

আরও পড়ুন:চাকরি হারিয়ে কেঁদে ফেললেন ববিতা, গাড়ি কেনার টাকা শোধ করব কী করে?
অঙ্কিতার হাতছাড়া হয়েছিল যে চাকরি, সেই চাকরি গিয়েছিল ববিতার হাতে।অঙ্কিতার মতোই পরিণতি হয়েছে ববিতা।এবার ববিতার জায়গায় চাকরি গেল তৃতীয় হকদার অনামিকার হাতে। এই লড়াইয়ে জিতে যে অনাবিল হাসি ধরা পড়েছে সেটা আবার মিলিয়ে যাবে না তো? অঙ্কিতা বা ববিতার মতো পরিণতি হবে না তো শেষ পর্যন্ত? এ প্রসঙ্গে অনামিকার স্বামী বলেন, “এই পরিণতি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ অনামিকা পরীক্ষায় যে নম্বর পেয়েছেন, সেটি স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ছাড়াও আদালত থেকেই সেই নম্বর ‘ক্রসচেক’ করা হয়েছে। ববিতার ক্ষেত্রে যে ভুল হয়েছিল, অনামিকার ক্ষেত্রে সেই ভুলের কোনও অবকাশ নেই।”
অনামিকা জানান, তিনি যে চাকরি পাবেন, সে বিষয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কখনও আশাহত হইনি। জানতাম, চাকরিটা আমি পাবই। চাকরির মেধাতালিকায় আমার নাম এবং ববিতার নাম পর পর ছিল। আমি ২১ নম্বরে ছিলাম। ববিতা ছিলেন ২০-তে। অঙ্কিতা আসার পর আমাদের র‌্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের পর তা মেধাতালিকা অনুযায়ী পান ববিতা। কিন্তু আমি পরে দেখি, ববিতার নম্বর আসলে আমার চেয়ে কম। তিনি ২ নম্বর কম পেয়েছিলেন। তাই চাকরিটা আমারই পাওয়ার কথা। তার পর আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে তাঁর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বেতনও ফেরাতে হয় আদালতকে। সেই বেতনের পুরো টাকাই পেয়েছিলেন ববিতা। কিন্তু অনামিকার মামলার পর দেখা যায়, ববিতার নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। তার পরই আদালত জানিয়ে দেয়, ববিতা নন, চাকরির আসল ‘হকদার’ অনামিকা।

 

Previous articleToday market price: আজকের বাজারদর
Next articleশিবকুমার মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেলে কর্ণাটকে ফের “অপারেশন লোটাস”র পরিকল্পনা বিজেপির