Thursday, August 28, 2025

কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) ফল প্রকাশের পর থেকেই প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করতে চাইছে কংগ্রেস (Congress)। সেই পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা বাংলাতেও। এই অবস্থায় প্রদেশ কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে এবার শহিদ মিনারে (Shahid Minar) একক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সন্দেহ বাড়ছে রাজনৈতিক মহলের। তাহলে কি এবার বামেদের (Left Front)সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস?

সাম্প্রতিক কালে বাম কংগ্রেস একসঙ্গে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একথা নতুন নয়। এমন কী তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনে বারবার একমঞ্চে দেখা গেছে হাত আর কাস্তে হাতুড়িকে। ২০১১তে রাজ্যে পালাবদলের পর ধস নেমেছিল কংগ্রেস শিবিরে। কিছু কিছু জায়গায় টিম টিম করে কংগ্রেসের প্রদীপ জ্বললেও বাকি রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে তা আলাদা করে কোনও উৎসাহ যোগাতে পারেনি। কিন্তু সাগরদীঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কিছুটা হলেও লাইম লাইট কাড়ার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। এরপরেই কর্নাটক নির্বাচনে দক্ষিণের রাজ্যকে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে শাসকের ভূমিকায় উঠে এসেছে কংগ্রেস। এমনকি বঙ্গের কংগ্রেস নেতারা দাবি করেন, বিজেপিকে হারাতে পারে কংগ্রেসই। এই অবস্থায় শহিদ মিনারে একক সভা করার সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্য সমীকরণ খুঁজতে চাইছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য কংগ্রেসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, “যতদূর মনে পড়ছে এরাজ্যে কংগ্রেস শহিদ মিনারের নিচে শেষ সভা করেছিল ২০১৬ সালে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সভাস্থল সম্পূর্ণ ভরে যাবে।” এমনিতেই বামেরা এরাজ্যে শূন্য হয়ে গেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে বামেরা। তাহলে কি সেই বন্ধুত্বে ছেদ পড়তে চলেছে? নাকি এবার কর্নাটকের ফলাফলে রাজ্যে কংগ্রেস নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে চাইছে ? শহিদ মিনারের সভা এখন কংগ্রেসের নিজেদের দলীয় শক্তির মরচে সরানোর পরীক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল!

 

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version