এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Blast) ফের বাড়ল মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারই কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল পাণ্ডা ভানু বাগ (Vanu Bag)। এবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) চিকিৎসাধীন আরও দুই আহতের মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রবীন্দ্র মাইতি ও পিঙ্কি মাইতি। তাঁদের দুজনেরই শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। আগেই এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এরপর ভানু বাগ সহ মোট দু’জনের মৃত্যুর জেরে বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১।
জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এগরার রবীন্দ্র মাইতি ও পিঙ্কি মাইতি। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র এবং শনিবার সকালে মৃত্যু হয় পিঙ্কি মাইতির। তবে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ জনের। সেই বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ছিল অভিযুক্ত ভানু। ঘটনার পর পুলিশের গ্রেফতারি এড়াতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাইকে চেপে সেখান থেকে ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। সেখানে আসল কথা গোপন করে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে কটকের কাছে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে ভবানী ভবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছিল সিআইডি (CID)। এর মধ্যেই ভানু বাগের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভানুর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়নি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে পুলিশি অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে নবান্ন থেকে ছয় দফার নির্দেশ জেলা পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটগুলির সিপিদের পাঠানো হয়েছে।