ব.র্ণবিদ্বেষীর স্বীকার ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জুনিয়রের পাশে ফিফা সভাপতি

ক্রীড়াক্ষেত্রে ফের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ। এবার স্পেনের ঘরোয়া লিগে বর্ণবিদ্বেষীর স্বীকার হলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। রবিবার ছিল লা লিগার ম্যাচ। সেই ম‍্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম‍্যাচেই বর্ণবিদ্বেষীর স্বীকার হন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এই ম‍্যাচে ভ‍্যালেন্সিয়ার কাছে ০-১ গোলে হারে রিয়াল।

ম্যাচের শুরু থেকেই ভিনিসিয়াস জুনিয়রের উদ্দেশ্যে কটুক্তি ভেসে আসতে থাকে ভ্যালেন্সিয়ার গ্যালারি থেকে। ঘটনার তিব্রতা বৃদ্ধি পায় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে। ভিনিসিয়াস বর্নবিদ্বেষমূলক কটুক্তি আর সহ্য করতে না পেরে রেফারিকে গ্যালারির দিকে আঙুল দেখিয়ে এক সমর্থককে দেখানোর চেষ্টা করেন, যিনি ভিনিসিয়াসকে ক্রমাগত ‘হনুমান’ বলে বর্ণবিদ্বেষী কটুক্তি করছিলেন। কিন্তু এখনও কোনও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভিনিসিয়াস। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ফিফা সভাপতি। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলার যে সত্যিই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন তা স্বীকার করেছেন ম্যাচ রেফারিও।

এই ঘটনার পরই এই বিষয় ভিনিসিয়াস বলেন,”এই ঘটনা প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বার ঘটছে না। লা লিগায় বর্ণবিদ্বেষ খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। এবং ফেডারেশনও এটিকে স্বাভাবিক ঘটনাই মনে করে। প্রতিপক্ষ দল বর্ণবিদ্বেষীদের উৎসাহিত করে। আমি দুঃখিত, যে চ্যাম্পিয়নশিপ এক সময় রোনাল্ডিনহো, রোনাল্ডো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, মেসিদের ছিল এখন সেটি বর্ণবিদ্বেষীদের দখলে।

এই ঘটনার পর ভিনিসিয়াস জুনিয়র পাশে দাঁড়িয়েছেন ফিফা সভাপতি ইনফান্টিনো।ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জিয়ানি ইনফান্টিনো লেখেন, “ফুটবল কিংবা সমাজে বর্ণবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই এবং যে সমস্ত ফুটবলার বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ফিফা তাদের পাশে থাকবে। ভ্যালেন্সিয়া এবং রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের ঘটনা দেখিয়ে দেয় যে এই বিষয়টি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।

 

এর পাশাপাশি ফিফা সভাপতি ফুটবল বিশ্বকে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কী করণীয় তা বুঝিয়েছেন। ইনফানটিনো বলেছেন, “এই কারণেই ফিফা আয়োজিত সমস্ত টুর্নামেন্টে তিন ধাপের প্রক্রিয়া রয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া সমস্ত স্তরের ফুটবলে প্রযোজ্য করা প্রয়োজন। প্রথমত, ম্যাচটি বন্ধ করে ঘোষণা করা উচিত। দ্বিতীয়ত, ফুটবলারদের মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত এবং ঘোষণা করা উচিত যে এই বর্ণবিদ্বেষ বন্ধ না হলে ম্যাচটি সাসপেন্ড করা হবে। বর্ণবিদ্বেষ বন্ধ হলে তবেই ম্যাচ শুরু হবে। এবং তৃতীয়ত, যদি আক্রমণ বন্ধ না হয় তাহলে প্রতিপক্ষকে ৩ পয়েন্ট দেওয়া হবে। এই তিনটি নিয়ম প্রতিটি দেশের প্রতিটি ফুটবল লিগে চালু হওয়া উচিত। বিষয়টি বলা সহজ হলেও করা কঠিন, কিন্তু আমাদের এটি করতেই হবে এবং শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের এই বিষয়টিকে সাহায্য করতে হবে।”

আরও পড়ুন:মিশন WTC ফাইনাল, আগামিকাল ইংল‍্যাkňbvbন্ড রওনা দিচ্ছেন বিরাটরা : সূত্র


 

 

Previous articleGujrat: বিয়ের নামে ১৫ বার বিক্রি! অবশেষে উদ্ধার নাবালিকা
Next articleফের দেশে ফিরছে ১০০০ টাকার নোট? কী বললেন আরবিআই গভর্নর