১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির ৩০দিন উদযাপন

যেহেতু নবজোয়ার যাত্রার কর্মসূচি মোট ৬০দিনের , তাই তার অর্ধেক পথ অতিক্রম করার দিনেই এই সভার আয়োজন হয়েছিল। ১০৯ নং ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee)

তৃণমূলের নবজোয়ার (Trinamoole NaboJowar) যাত্রা রাজ্যজুড়ে ভীষণ সাড়া ফেলেছে। দলীয় কর্মী, সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষের যোগদানে সমাবেশগুলোতে চোখে পড়ার মতো ভিড় হচ্ছে। মূলত জেলায় জেলায় কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে কলকাতায় (Kolkata) সংবাদমাধ্যম ছাড়া বাকিদের কাছে বিশেষ করে দলীয় কর্মীদের কাছে এর সাফল্যের কথা সেইভাবে পৌঁচ্ছছে না। তাই তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ঐতিহাসিক নবজোয়ার যাত্রার ৩০ তম দিনে যাদবপুর এলাকার অন্তর্গত মুকুন্দপুরে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। যেহেতু নবজোয়ার যাত্রার কর্মসূচি মোট ৬০দিনের , তাই তার অর্ধেক পথ অতিক্রম করার দিনেই এই সভার আয়োজন হয়েছিল। ১০৯ নং ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee) এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এদিন জায়েন্ট স্ক্রিনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নবজোয়ার যাত্রার অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হয়। এই জনসভাতে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ, বিদ্যুৎ ও আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Arup Biswas), সহ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য (Chandrima Bhattacharya), শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায় (Mala Roy) ও শুভাশীষ চক্রবর্তী, দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh), দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস কুমার, সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদোসী বেগম, রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পৌরপ্রধান পরিষদ নজরুল আলী মন্ডল সহ যাদবপুর ও টালিগঞ্জের সকল পুরপ্রতিনিধিরা।

এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের অনুষ্ঠানে বলেন, শুধুমাত্র বাংলা বা ভারতবর্ষ নয়, বিশ্বে প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এমন নজির গড়ে দেখাল। অনুষ্ঠানে রীতিমতো চাঁদের হাট। গানে গানে মঞ্চে মাতালেন কুণাল ঘোষ এবং সায়নী ঘোষ। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক উপস্থিত অতিথিরা ঠিক কী বললেন-

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য: নবজোয়ারের ৩০দিন উদযাপন হচ্ছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে ৩হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই প্রতিটি ঘরে ঘরে এমন সন্তানের জন্ম হোক।

মালা রায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প আজ শুধু বাংলা নয়, তাকে অনুকরণ করছে অন্যান্য রাজ্য।অন্যদিকে অভিষেক তৃণমূলে নবজোয়ার এনেছেন। মাঝে সিবিআই ডেকেছিল, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। আবার ছুটে গিয়েছেন কর্মসূচি পালনে।

কুণাল ঘোষ: মেয়ের জন্মদিনেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মসূচিতে অবিচল। বিজেপির প্রধান নেতারা বাংলায় ডেইলি পাসেঞ্জার হয়েও জেতাতে পারেনি বিজেপিকে। তারপর থেকে প্রতিহিংসা। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একের পর এক প্রকল্প করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে অভিষেক শিরদাঁড়া সোজা রেখে সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে এসেছে। কলকাতায় অনন্যা মডেলে আরও জায়গায় এমন কর্মসূচি হোক। একটাই বার্তা, অভিষেক তুমি এগিয়ে চলো।

দেবাশিস কুমার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন এই অভিনব কর্মসূচি আগে কোথাও দেখিনি।

সুজিত বোস: বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। সমস্ত কুৎসা ষড়যন্ত্র দূর হবে।অনন্যাকে ধন্যবাদ।

শশী পাঁজা: এখানে বাম-রাম-কংগ্রেস অশুভ আঁতাত। যা খুব সাংঘাতিক। মানুষ তা চিহ্নিত করে ফেলেছেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দেবব্রত মজুমদার, সায়নী ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, মদন মিত্র, কোহিনুর মজুমদার, ফিরদৌসি বেগম এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।

 

Previous articleবিশেষভাবে-সক্ষম মানুষের পাশে অভিষেক, আপ্লুত পুরুলিয়া
Next articleলখনৌয়ের বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে জয়, কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স