বিশেষভাবে-সক্ষম মানুষের পাশে অভিষেক, আপ্লুত পুরুলিয়া

জনসংযোগ যাত্রায় রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ- যেখানে মানুষ তাঁকে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন, সেখানেই দ্রুত সাধ্য মতো তার সমাধানের রাস্তা করে দিচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। বুধবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে পুরুলিয়ায় যান অভিষেক। সেখানে কাশীপুরের অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উপস্থিত হন ঈশ্বরচন্দ্র বাউরি নামে বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি। তাঁর সংগ্রাম এবং সমস্যার কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। তাঁর শারীরিক অস্বস্তি লক্ষ্য করে তাঁর বসার ব্যবস্থা করে দেন অভিষেক। বাউরির কথা শুনতে ওখানেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন তিনি। সব শুনে তাঁকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। স্থানীয় নেতৃত্বকে দ্রুত বাউরির বাড়ি গিয়ে দেখে আসতে বলেন। সঙ্গে বাউরিকে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন অভিষেক। এর আগে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি মন্দিরে বৃদ্ধা কাননবালা ঘোষের আর্তি শুনে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্য পরিবহণ দফতরে তাঁর ছেলে সঞ্জয় ঘোষের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন তিনি। ময়নাগুড়ি মন্দিরে বৃদ্ধার মুখ থেকে তাঁর ছেলে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে কীভাবে খুন হয়েছিলেন সেকথা শোনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেলের অকাল মৃত্যু তাঁর পরিবারকে কীভাবে আর্থিক ভাবে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে সেকথাও অভিষেককে বলেন বৃদ্ধা। তারপরই এগিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেদিন পুরুলিয়ায় অভিষেকের রোড শো-র জনপ্লাবন থেকেই আওয়াজ উঠল “বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও”। ২০১৮সাল থেকে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এই জেলায় মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বিজেপি। বিধানসভায় তারা এখান থেকে জিতেছে ছটি আসনে। কিন্তু তারপর থেকে বেপাত্তা বিজেপি বিধায়করা। আফশোষ করছেন মানুষ।

বাঁকুড়া থেকে এদিন অভিষেক কাশীপুর বিধানসভা এলাকার কাশীপুর শহরে প্রথম রোড শো করেন। তারপর আদ্রা, রঘুনাথপুর, পাড়া হয়ে পুরুলিয়া পৌঁছান। এদিন যে চারটি বিধানসভা এলাকায় রোডশো করেন তিনি চারটিই রযেছে বিজেপির দখলে। কিন্তু এদিনের ভিড় বুঝিয়ে দিয়েছে “এই বিজেপি আর না”।

কাশীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া বলেন, এদিন অভিষেক চৌষট্টি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন জেলায়। এর মধ্যে পাঁচটি রোড শো ছিল প্রায় পনেরো কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে। রাস্তার দুপাশে লক্ষাধিক মানুষ ছিলেন। দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, এদিন রোড শো গুলি শেষ করার পর পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে শিমূলিয়া ময়দানে দলের অধিবেশন ও প্রার্থী নির্বাচনের ভোটগ্ৰহন হয়েছে। এদিন জেলার কুড়িটি ব্লকের মধ্যে বারোটি ব্লকের প্রায় বারোশ কর্মী ভোটে অংশগ্ৰহন করেছেন। বৃহস্পতিবার বান্দোয়ানে অধিবেশন হবে।

কাশীপুরেই এদিন অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেন মানবাজার থানার মানপুর গ্ৰামের বিশেষভাবে সক্ষম তপশিলী যুবক ঈশ্বর চন্দ্র বাউরি। অভিষেক তাঁকে কাছে ডেকে তাঁর কথা শোনায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে জনতা। পরে ওই যুবক বলেন, এমন আপনজনের মতো ব্যবহার তিনি আশা করেননি। তাঁর মতে, তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দলের নেতা এমন জনদরদী হয় না। এদিন দীর্ঘ রোড শো এবং দলীয় অধিবেশনে ছিলেন সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- বাইডেনকে খু.ন করতে হোয়াইট হাউসে ‘হা.মলা’! গ্রে.ফতার ভারতীয় বংশোদ্ভূত

Previous articleবাইডেনকে খু.ন করতে হোয়াইট হাউসে ‘হা.মলা’! গ্রে.ফতার ভারতীয় বংশোদ্ভূত
Next article১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির ৩০দিন উদযাপন