মমতার প্রস্তাব মেনে বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক পাটনায়, দিন ঘোষণা নীতীশের

বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে নীতীশ কুমার যখন কলকাতায় বৈঠক করেন, তখনই বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক পাটনায় করার প্রস্তাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মোদি সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে- এটাই মত তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো-সহ অবিজেপি দলগুলির। নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনই জোটের প্রথম বৈঠকের দিন ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ১২ জুন পাটনাতে বিরোধী জোটের বৈঠক। আর সেই বৈঠক হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রস্তাবিত জায়গা পাটনাতেই।

বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে নীতীশ কুমার যখন কলকাতায় বৈঠক করেন, তখনই বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক পাটনায় করার প্রস্তাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭৪ সালে পাটনার গান্ধী ময়দান থেকেই ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি’র ডাক দেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। সেই জোটবদ্ধ আন্দোলনের জেরে পতন হয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের। সেই ইতিহাস স্মরণ করেই দিল্লিতে নয়, বিজেপি বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক পাটনায় করার প্রস্তাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই কথা মেনে নিয়েই পাটনাতে জোটের প্রথম বৈঠকের কথা জানান নীতীশ। ২১ বিরোধীদলের অনুপস্থিতিতে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিনই বৈঠকের দিন ঘোষণা করলেন নীতীশ।

বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদবের থাকার কথা। কংগ্রেসর তরফে থাকতে পারেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। থাকতে পারেন এম কে স্ট্যালিন, কেসিআর-সহ দাক্ষিণাত্যের নেতারাও।

সংসদভবন উদ্বোধনের আগের দিনই নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১১ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার, সেন্ট্রাল ভিস্তার উদ্বোধনেও যোগ দেয়নি ২১টি বিজেপি বিরোধীদল। দিল্লির অর্ডিন্যান্স নিয়েও কেজরিওয়ালের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকটি দল। রাজ্যসভায় বিল পাশ না করা গেলে, ২০২৪-এর নির্বাচনের আগেই মোদি সরকারের বিদায়ের সেমিফাইনাল হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতি বিরোধী জোটের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

২৪ এপ্রিল নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন নীতীশ কুমার। সঙ্গে ছিলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। এখান থেকে লখনউ গিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। বৈঠক করেন উদ্ধব, অরবিন্দ, এমনকী নবীন পট্টনায়েক সঙ্গেও। তবে, এই জোটে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়েককে পাশে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। ১২ জুন পাটনাতে এই ছবিতটা কিছুটা স্পষ্ট হবে।

 

 

Previous articleজেলায় জেলায় বইবে লু, কলকাতার পারদ চড়বে ৪০ ডিগ্রিতে
Next articleনতুন সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক কুস্তিগিররা