আজ আইপিএল মহারণ, ফাইনালে চেন্নাই-গুজরাত

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শুভমন গিল ৬০ বলে ১২৯ রান করেছেন। এই নিয়ে এবারের আইপিএলে তিনটি শতরান হল পাঞ্জাব ব্যাটারের।

আজ আইপিএল-এর মহারণ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি গুজরাত টাইটান্স। করোনার সময় মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মদিন উপলক্ষে চার্টার্ড ফ্লাইটে বরোদা থেকে রাঁচির ফার্ম হাউসে উড়ে এসেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঙ্গে দাদা ক্রুনাল। দুই ভাইয়ের কাছে ধোনি বড় ভাইয়ের মতো। রবিবার সেই ধোনির সঙ্গে আইপিএল ফাইনালে লড়বেন হার্দিক। জিতলে এটা হবে গুজরাত টাইটান্সের টানা দ্বিতীয় ট্রফি। আর চেন্নাইয়ের সামনে এটা পঞ্চম ট্রফি জয়ের সুযোগ। ধোনি জিতলে রোহিত শর্মার কীর্তিও ছুঁয়ে ফেলবেন। হার্দিক জিতলে হবেন টানা দু’বার আইপিএল ট্রফি জেতা তৃতীয় অধিনায়ক। বাকি দু’জন ধোনি ও রোহিত। এই দুটো দলই সবার আগে আইপিএল প্লে-অফে উঠে এসেছে। দুটো দলই চমৎকার ছন্দে রয়েছে। চেন্নাই প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাতকে হারিয়েছে। গুজরাত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উড়িয়ে দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। ফলে মোতেরায় রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় জবরদস্ত মোকাবিলা অপেক্ষা করে আছে।

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শুভমন গিল ৬০ বলে ১২৯ রান করেছেন। এই নিয়ে এবারের আইপিএলে তিনটি শতরান হল পাঞ্জাব ব্যাটারের। তাঁর পাশে খুব কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন সাই সুদর্শন। তারপর পাঁচ উইকেট নিয়ে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখান মোহিত শর্মা। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আকাশ মাধোয়াল পাঁচ উইকেট নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মোহিত মুম্বই ব্যাটিংকে মাত করেছেন। ফাইনালে চেন্নাইয়ের সামনে মোহিতের স্লো মিডিয়াম পেস কিন্তু সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে ছন্দে থাকা শামি বা মোহিতের সামনে রবিবারের ম্যাচে যাঁরা চেন্নাইয়ের ইনিংস শুরু করবেন, তাঁরাও কিন্তু গোটা আইপিএলে ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ডেভন কনওয়ে ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় প্রথম কোয়ালিফায়ারে হার্দিকদের পার্টি নষ্ট করেছেন। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, চিপক আর মোতেরার উইকেট সম্পূর্ণ আলাদা। ওখানে স্লো টার্নার হলেও মোতেরার উইকেট পাটা। তাই এই দুই ওপেনারকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে না পারলে মুশকিল আছে গুজরাতের। আগে ব্যাট করলে এই উইকেটে অন্তত ১৮০ তুলতে হবে। পরেরদিকে শিশির সমস্যায় ফেলতে পারে। চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ে কনওয়ে ও ঋতুরাজ ছাড়াও রাহানে, শিবম দুবে, রায়াডু, জাদেজা, মইন ও ধোনি রয়েছেন। বোলিংয়ে দীপক চাহার, মহেশ থিকসানা, জাদেজা ছাড়াও আছেন মাথিসা পিথারানা। ডেথ ওভারে পিথারানা মালিঙ্গার মতোই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। ধোনির ভরসার বোলার হয়েছেন এই সিংহলি।

গুজরাতের ক্ষেত্রে শুভমন একাই একশো। শুরুতে ঋদ্ধিমান সাহা আসছেন তাঁর সঙ্গে। ঋদ্ধিমান শেষ কয়েকটা ম্যাচে রান পাননি। কিন্তু যে দলে সুদর্শন, বিজয়শঙ্কর, হার্দিক, মিলার, রাহুল তেওটিয়ার মতো ব্যাটার ও রশিদ খান, মোহিত শর্মা, শামি, নুর আমেদের মতো বোলার রয়েছে, তাদের জন্য কোনও বাধাই বড় চ্যালেঞ্জ নয়। শামি ১৬ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়েছেন। চেন্নাই ওপেনারদের জন্য এটাও শক্ত পরীক্ষা। ঠিক যেভাবে গুজরাতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ক্যাপ্টেন কুলের মাথা। ধোনি খুব বড় রান করছেন না। কিন্তু উইকেটের পিছনে যেমন বিশ্বস্ত, তেমনই ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। এই গুজরাতের সঙ্গেই আগের ম্যাচে পাথিরানাকে দিয়ে বল করাতে ৪ মিনিট ‘সময় কিনেছিলেন’ বলে অভিযোগ! অভিজ্ঞতার প্রশ্নে হার্দিকের থেকে অনেক এগিয়ে ধোনি। কখন কোন ট্যাকটিক্স নেবেন কেউ জানে না। পাথিরানাকে আগের ম্যাচে বল করাতে আম্পায়ের সঙ্গে যুক্তি-বিতর্ক চালিয়ে গিয়েছিলেন ধোনি। যা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু ক্যাপ্টেন কুলের কিছু যায়-আসেনি। তিনি পাখির চোখ দেখছেন ট্রফিকে। বাকি সব বেকার।

আরও পড়ুন:Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস

 

 

Previous articleভ*য়াবহ তুষারধস পাকিস্তানে! অন্তত ১০ জনের মৃ*ত্যু, আ*হত আরও অনেকে
Next articleবিগত ৯ বছর ধরে সংসদকে লাগাতার অ.পমান! তৃণমূলের প্রশ্নবা.ণে বি.দ্ধ মোদি