অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর হলেন ড. সুরঞ্জন দাস

অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ড. সুরঞ্জন দাস। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর সমিত রায়। এই নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করে সুরঞ্জন দাস বলেন, উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি করুন জরুরী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মতো এখানেও তা দরকার। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রকৃত মেধাবী, গরিব ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।

হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার মূল কান্ডারী যারা সেই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের এদিন স্বীকৃতি দিল অ্যাডামাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধিক সম্পদদের সঙ্গে প্রকাশ্য পরিচিতি ও স্বীকৃতি দানের এই অনুষ্ঠান হয়ে গেল শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে।
পড়ুয়াদের সঠিক পথের দিশা দেখিয়ে তাদের সমাজের প্রতি অবদান রাখার ক্ষেত্রেও এই মানব সম্পদদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০১৪ সালে পথ চলা শুরু করেছিল এই ইউনিভার্সিটি। শুধুমাত্র বাংলার নয়, কুড়িটি রাজ্যের অধ্যাপকরা এই ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাদানের জন্য আসেন।

অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর সমিত রায় বলেন, এই অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। তাঁরা শুধু অ্যাডামসের মানোন্নয়নের দিকেই নজর দেন না, সমাজের প্রতি তাদের অবদান যথেষ্ট। তাই আমরা মনে করি এই ব্যক্তিত্বদের যথাযথ স্বীকৃতি লাভ অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বৌদ্ধিক সম্পত্তি এরাই। তাদের ছাড়া আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অসম্পূর্ণ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এদের মধ্যে ১৪ জন অধ্যাপকের ঝুলিতে রয়েছে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা ও কাজের অভিজ্ঞতাও। অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি পেটেন্ট ,গড়ে তুলেছে নটি গবেষণা কেন্দ্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্টেম সেল রিসার্চ সেন্টার। শুধুমাত্র গবেষণার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে বাইরে থেকে সাহায্য এসেছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

শুধুমাত্র পড়াশোনা ও শিক্ষাদানের মধ্যেই থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম ।ক্রীড়া জগতেও অ্যাডামাসের সাফল্য নজরকাড়া। পরপর তিনবার খেলো ইন্ডিয়াতে অংশ নিয়ে তিনবারই নজরকাড়া ফল ও একাধিক পুরস্কার তাদের দখলে। চলতি বছরে খেলো ইন্ডিয়ায় তাদের ৯৩ জন অংশ নেয়। গোটা দেশের মধ্যে ১৮ নম্বরে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ।আগ্রহী পড়ুয়া খেলোয়াড়দের পাশে থেকে তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য রয়েছে স্কলারশিপ ও স্পন্সরশিপের ব্যবস্থা।

আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে পড়ুয়াদের জন্য ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা শুরু করার ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে অ্যাডামাস। এরই পাশাপাশি , কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় পূর্ব ভারতে প্রথম ই-যুব সেন্টার এবং স্টেম সেল রিসার্চ সেন্টার শুরু করার সাফল্যও তাদের ঝুলিতে।

আরও পড়ুন- খাওয়াদাওয়া বন্ধ করেও মিলল না রেহাই! আগামী ১৪ দিন ইডি হে.ফাজতেই সুজয়কৃষ্ণ

বাংলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১০ কোটি টাকার ডিএসটি তহবিল ও প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সর্বোচ্চ মূল্যের রিসার্চ গ্র্যান্ট পেয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বের ৪৪ টি দেশের ৮৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠান সংযুক্তি ঘটাতে পেরেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তরফে তৈরি করা হয়েছে স্টেট অফ দ্য আর্ট ল্যাব, যা পড়ুয়াদের সমসাময়িক ও আধুনিক ইকোনোমেট্রিক সফটওয়্যার স্ট্যাটা-১৭ এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে।

 

 

 

Previous articleখাওয়াদাওয়া বন্ধ করেও মিলল না রেহাই! আগামী ১৪ দিন ইডি হে.ফাজতেই সুজয়কৃষ্ণ
Next articleসরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির সরলীকরণ, একগুচ্ছ বাড়তি সুবিধা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর