নিয়োগ দুর্নী*তিতে মানিক-সুজয়ের সরাসরি যোগ! দাবি ইডির

'চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই। তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে আসতেন কালীঘাটের কাকু', রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি ইডির।

নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি আঁতাঁত রয়েছে সুজয় কৃষ্ণের। টাকার লেনদেন ছাড়াও বেআইনিভাবে চাকরি বিক্রিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। বুধবার সুজয়কৃষ্ণকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি।’চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই। তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে আসতেন সুজয় কৃষ্ণ। রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি ইডির।
সিজিও কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার ইডির দফতরে টানা প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা চলাকালীন ‘সুজয় কৃষ্ণ’ কিছু খাননি। এমনকী তারপর দিনও কোর্টে পেশ করা পর্যন্ত কিছুই দাঁতে কাটেননি তিনি। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন ধৃত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। আশঙ্কা ছিল ইডি-র গোয়েন্দাদের। ফলে তাঁর মেডিক্যাল করাতেও দেরি হয়েছিল। অবশ্য এর নেপথ্যে কালীঘাটের কাকুর বড় কৌশল ছিল বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, এভাবে অসুস্থ হয়ে গেলে তদন্ত থমকে যেতে পারে। বিব্রান্ত হতে পারেন তদন্তকারীরা। তাই চেষ্টার ত্রুটি করেননি ‘ সুজয় কৃষ্ণ’।
বুধবার আদালতে সব জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শেষ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠোন হয় তাঁকে। এরপরই পণ ভাঙেন সুজয়কৃষ্ণ। বুধবার রাতেই খেয়েছেন তিনি। ফলে স্বস্তি মিলল ইডি-র গোয়েন্দাদের। তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তাই জেরাতেও আর বাধা রইল না।
রিমান্ড লেটারে আদালতে ইডি-র দাবি, চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই। নিজের কাজ করানোর জন্য সেখানে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে আসতেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডি সূত্রের খবর, শুধু মানিকের মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি নয়, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করে সুজয়কৃষ্ণ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য মিলেছে। ইডি-র দাবি,জেরায় তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০১৪র টেটের জন্য ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা সুজয় ভদ্রর হাত দিয়ে মানিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, এই ৩২৫ জনকে চাকরি পাইয়ে দিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ।