৪৫ মিনিট বন্ধ হৃদস্পন্দন! মিরাকেল ঘটালেন বাঙালি চিকিৎসক

চিকিৎসক অরিজিৎ ঘোষ যাদবপুরের বাসিন্দা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী অরিজিৎ জানান, সর্বজিতের রিফ্র্যাকটরি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।

হৃদস্পন্দন স্তব্ধ ছিল প্রায় ৪৫ মিনিট (Heart Beat)। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও জ্ঞান ফেরেনি। কোনও ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ থাকলে হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে গিয়ে থাকলে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রক্ত না পৌঁছলে ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের নভেম্বর মাস। কোভিড আক্রান্ত হন ব্রিটেন নিবাসী ৩৯ বছর বয়সী সর্বজিৎ সিং (Sarbajeet Singh)। স্ত্রী রাজ কউর তখন তৃতীয়বারের জন্য সন্তানসম্ভবা। আর এমন জটিল পরিস্থিতিতে বারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে থাকে সর্বজিতের। রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় বার্মিংহাম সিটি হাসপাতালে।

এরপরই হাসপাতালে সর্বজিৎকে সিপিআর (CPR) দেওয়া হয়। আরও নানাভাবে হৃদস্পন্দন চালু করার চেষ্টা করা হয়। কেটে যায় ৪৫ মিনিট। সর্বজিৎকে মৃত ঘোষণাই করা হতো। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অরিজিৎ ঘোষ। তিনি ভাবলেন, শেষ অস্ত্র হিসেবে সর্বজিতের উপর ‘ডাবল সিকোয়েনশিয়াল এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেশন’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন। ডাবল সিকোয়েনশিয়াল এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেশন পদ্ধতিতে পিঠ ও বগলের সঙ্গে বুকের মাঝে ও পিঠের দিক থেকেও দেওয়া হয় শক। আর এরপরই চিকিৎসকদের পরিকল্পনা মতো ঘটে মিরাকেল। জ্ঞান ফেরে সর্বজিতের। যদিও ২ মাস পর তিনি সুস্থ হন।

চিকিৎসক অরিজিৎ ঘোষ যাদবপুরের (Jadavpur) বাসিন্দা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী অরিজিৎ জানান, সর্বজিতের রিফ্র্যাকটরি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। তিনি আরও বলেন সর্বজিতের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে প্রচলিত চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে ডাবল সিকোয়েনশিয়াল এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেশন প্রয়োগ করি। রোগীর নাড়ি সচল হয়, রক্তচাপ ফিরে আসে। এরপর রোগীর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে দেখা যায় তাঁর ডানদিকের করোনারি আর্টারিতে ব্লক আছে। পরে সেই ব্লক খুলে স্টেন্ট বসানো হয়।

 

 

Previous article‘আল নাসেরেই থাকতে চাই, এখানে আমি খুশি’, দলবদলের জল্পনায় জল ঢেলে বললেন CR7
Next article“পরের ছবি চিফ মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট”! মিঠুনের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ‘বাসনা’য় মো.ক্ষম চিমটি কুণালের