বন্ধের মুখে হিন্দমোটর হাই স্কুল, ‘নেপথ্য সিপিএম’, দাবি তৃণমূল-বিজেপির

বন্ধের মুখে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থানাধিকারী রূপসা উপাধ্যায়ের স্কুল, হিন্দমোটর হাই স্কুল। আর সেই হিন্দমোটর হাই স্কুলটি এবার বন্ধের পথে।এই স্কুল বন্ধের পিছনে রয়েছে সিপিএম দলের হাত, এমন অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি।

১৯৫৩ সালে এই স্কুলটি শুরু হয়। জেলার অন্য নামী স্কুলগুলির মধ্যে এটি একটি। এবার সেই স্কুল বন্ধের পথে। কিন্তু হঠাৎ করে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। তবে এই স্কুল যাতে কোনওভাবে বন্ধ না হয় তার জন্য উদ্যোগ নেবে প্রশাসন এটাই আশা এলাকার বাসিন্দা থেকে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের।

স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান অচ্ছেলাল যাদব বলেন, এই স্কুলের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে, এই স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া খুব দুঃখের। প্রধান আরও জানান স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে তিনি কথা বলেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে তারা আর এই স্কুল চালাতে পারছেনা বিভিন্ন কারণে, তার মধ্যে স্কুলে ছাত্রছাত্রী কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। কিন্তু এরপরেও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যাতে এই স্কুল বন্ধ না করা হয়। এই স্কুলেই একসময় পড়তেন এই স্কুল থেকে অনেক ভালো ভালো ছেলেমেয়ে পাশ করে এখন তারা প্রতিষ্ঠিত মানুষ। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুব কষ্টের। এই স্কুল থেকেই এই বছর এক ছাত্রী রাজ্যের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। এই স্কুলে আগে বাংলা, হিন্দি ও ইংলিশ মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হতো। এখন হিন্দি ও ইংলিশ মাধ্যমে পড়াশোনা চলতো। কিন্তু এবার সেটা বন্ধের পথে। কিন্তু এত ভালো আর এত পুরোনো একটা স্কুল এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া খুব কষ্টের।

স্কুলের আর এক প্রাক্তন ছাত্র হুগলি জেলা বিজেপির সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন এই স্কুল বন্ধের পিছনে সম্পূর্ণ হাত রয়েছে সিপিএম দলের। এই স্কুলের একসময়ের ভালো ভালো শিক্ষকদের সরিয়ে সিপিএম তাদের পরিবারের লোকদের চাকরি করাতো এই স্কুলে। সিপিএম চক্রান্ত করে এই স্কুলের ফিস বৃদ্ধি করিয়েছিল। এই স্কুল বাঁচাতে সমস্ত সরকারি দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই স্কুল বাঁচাতে আন্দোলন করতে যদি দলীয় পতাকা ছেড়ে তৃণমূলের সাথে লড়তে হয় তাহলে তাতেও প্রস্তুত তারা।

অপরদিকে এই স্কুলের আর এক প্রাক্তন ছাত্র তথা উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন এই স্কুলের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই স্কুলে বহু ভালোভালো ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করেছে। তারা এই স্কুলে পড়ার সময় শিক্ষক শিক্ষিকার কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। তিনি চান এই স্কুল যেন বন্ধ না হয়। একসময় এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী ছিল প্রায় ৩০০০ থেকে ৪০০০। কিন্তু এখন সেটা প্রায় ৪০০ তে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটা ঐতিহ্যবাহী স্কুলের হটাৎ এরকম অবস্থায় চিন্তায় সকলেই। তবে এত ভালো একটি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে দুঃখ প্রকাশ করেছে বহুমানুষ। এলাকার বাসিন্দারা বলেন এই স্কুলে এলাকার ছেলে মেয়ের সাথে বাইরে থেকেও বহু ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করতে আসতো এত ভালো একটা স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া খুব দুঃখের। এই স্কুল চালু রাখা উচিৎ।

আরও পড়ুন- ২৪-এ বিজেপি থাকবে না, এই ED-CBI ওকে জেলে ঢোকাবে: শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের

Previous articleহুগলিতে পুলিশের জালে উচ্চশিক্ষিত চোর
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস