২৪-এ বিজেপি থাকবে না, এই ED-CBI ওকে জেলে ঢোকাবে: শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের

ঘড়িতে তখন রাত্রি সাড়ে দশটা। দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথ হেঁটে নন্দীগ্রাম(Nandigram) পৌঁছে জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। রাত বাড়লেও মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনায় এক ফোটা ভাঁটা পড়েনি। বরং তা আরো বেড়েছে। যতদূর চোখ যাচ্ছে চোখে পড়ছে সহস্র মানুষের মাথা। আর এই সভা মঞ্চে দাঁড়িয়েই ঝাঁজালো সুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Shubhendu Adhikari) আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর বিজেপি আর ক্ষমতায় থাকবে না। এই ইডি এই সিবিআই শুভেন্দুকে জেলে ঢোকাবে।

নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দুর নাম না করেই এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিজের পিঠ বাঁচাতে বাবা-মা সবাইকে বিক্রি করে দিয়েছেও। যত দিন যাচ্ছে ফুলে উঠছে। ওর পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি বেইমানী, চোখে ভয়, মুখে হতাশা আর শরীরী ভাষায় বেইমানি। মনে রাখবেন ২০২৪ সালে বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরছে না। এই সিবিআই এই ইডি ওকে জেলে ঢোকাবে। আগামী দিনে ভারতের সংবিধান থাকবে ইডি-সিবিআই থাকবে, কিন্তু বিজেপি থাকছে না। এই বছর পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে যার সবকটাতে বিজেপি হারছে।”

আরও পড়ুন- অবশেষে কুস্তিগিরদের পাশে এক বিজেপি সাংসদ, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো’ ঘোষণা কৃষকনেতার

পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে লোডশেডিং এ জয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অভিষেক বলেন, “নন্দীগ্রামের যে ফল তা কখনো সত্যি হতে পারে না। সত্যিটা একদিন বেরিয়ে আসবেই। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যারা ভেবেছিল গায়ের জোরে ভোট নিয়ে নন্দীগ্রামকে অশান্ত করব, তারা মনে রাখবেন এই নন্দীগ্রাম সিপিএমের অপশাসনকে উৎখাত করেছিল। নন্দীগ্রামের মানুষ কখনো বশ্যতা স্বীকার করেনি, আর করবে না। আজকের এই ২০ কিলোমিটার পদযাত্রা বাংলার মাটিকে দূষণমুক্ত করবে। যারা নন্দীগ্রামের শান্ত মাটিকে অশান্ত করতে চেয়েছিল তাদের কবরে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল এই পদযাত্রা।”

এর পাশাপাশি শুভেন্দুকে তোপ দেগে অভিষেক আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ইডি- সিবিআই লাগিয়েছে। সারাক্ষণ ভাইপো-ভাইপো করে চলেছে। যতবার ও আমার নাম নেয়, নিজের বাবা মার নামও অতবার নেয় না। কিন্তু আমার নাম নিতে পারেনা। আমি নাম নিয়ে বলছি শুভেন্দু ঘুষখোর, বেইমান, মীরজাফর। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, “ঘড়িতে এখন রাত্রি সাড়ে দশটা। গদ্দার অধিকারির ক্ষমতা নেই রাত্রি সাড়ে দশটায় আমার মত সভা করার। ওদের কাছে ইডি-সিবিআই আছে, কিন্তু আমাদের কাছে মানুষ আছে। মানুষের ভালোবাসা আছে।”

আরও পড়ুন- অবশেষে কুস্তিগিরদের পাশে এক বিজেপি সাংসদ, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো’ ঘোষণা কৃষকনেতার

Previous articleঅবশেষে কুস্তিগিরদের পাশে এক বিজেপি সাংসদ, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো’ ঘোষণা কৃষকনেতার
Next articleহুগলিতে পুলিশের জালে উচ্চশিক্ষিত চোর