করমণ্ডলের সঙ্গে মমতা জমানার জ্ঞানেশ্বরীর তুলনা শুভেন্দুর, পাল্টা দিলেন কুণালের

করমণ্ডল এক্সপ্রেসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে প্রায় ৩০০ জনের। রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ঘটা এই দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। তবে পাল্টা মমতা জমানায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে মাও হামলার প্রসঙ্গ টেনে রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। এবার শুভেন্দুর টুইটের পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। শুভেন্দুর বক্তব্যের রেশ ধরেই রাজ্যে বাম-বিজেপির যোগ তুলে ধরে তিনি জানালেন, “ট্রেন দুর্ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।”

 

তৃণমূলের তরফে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির পাল্টা জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ঘটনা তুলে ধরে রবিবার টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তিনি লেখেন, “২০১০ সালের ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস বেলাইন হয়েছিল। তখন কি আপনার পিসি তথা তৎকালীন রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন? ১৫০জন যাত্রীর মৃত্যুর দায় নিয়ে তিনি কি পদত্যাগ করেছিলেন।” পাশাপাশি শুভেন্দু আরও লেখেন, “শকুনির রাজনীতি করার জন্য আপনি ৪৮ ঘণ্টাও অপেক্ষা করলেন না। একজন অর্ধশিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে এর থেকে বেশি আর কি আশা করা যায়! পারিবারিক ব্যবসার মালিক হলেন তার পিসি, তিনি ব্যবসাকে আবার রাজনৈতিক দল বলে উল্লেখ করেন। মাননীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী যাদব আইআইটির প্রাক্তনী। ১৯৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন আইএএস। এই সংকটের সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তিনিই উপযুক্ত ব্যক্তি।”

শুভেন্দুর টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ লেখেন, “গতকালের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে জবাব চাইছে দেশ। অশ্বিনী বৈষ্ণবের নিজের বক্তব্যকে পেশ করতে শুভেন্দুর রাজনৈতিক ইশারার প্রয়োজন নেই।” একইসঙ্গে তিনি লেখেন, “বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনাকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত ঘটনার সাথে মেলানো একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই ঘটনাটি অ্যান্টি কলিসন ডিভাইসের অভাবে ঘটেছে। আর অন্যটি মাওবাদী কার্যকলাপের ফল। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ সেই সময়ে তাঁর সক্রিয় পদক্ষেপ এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির জন্য।” এরসঙ্গে কুণাল যোগ করেন, “ট্রেন দুর্ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। যাতে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার এবং মার্কসবাদী-নকশালদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ থেকে চোখ ঘোরানো যায় এবং ট্রেনে সংঘর্ষ বিরোধী ডিভাইসের জন্য সোচ্চার হওয়া প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে এই অপদার্থ রেলের দোষ ঢাকা যায়। এটা করতে গিয়ে সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে বিজেপির যোগ স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু মীরজাফর অধিকারী।” একইসঙ্গে কুণাল জানান, “শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাইয়েরা যে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির সুবিধা পেয়ে আসছেন সেটা তাদের সাম্প্রতিক বয়ানের বিড়ম্বনাতেই স্পষ্ট। গোটা অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড পরিকল্পিত স্মৃতিভ্রম রোগে ভুগছেন।”

Previous articleভ*য়াবহ ট্রেন দু*র্ঘটনায় প্রা*ণ গিয়েছে ১৯ জনের, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে বি*ষাদের সুর
Next articleবিদায় পিএসজি, শেষ ম‍্যাচেও মেসিকে অপমান সমর্থকদের