বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজ করতে চেয়ে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বেঞ্চ সেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের টিকিটে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন বায়রন। কিন্তু সেই জয়ের তিন মাস পরেই তিনি দল বদল করেন। গত সোমবার ঘাটালে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারের সভায় পৌঁছে যোগ দেন তৃণমূলে। এর ফলে বিধানসভায় একমাত্র বিধায়ক হাতছাড়া হয়ে যায় কংগ্রেসের। কিন্তু তার পরও বায়রনের বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি। তিনিই কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক হওয়ায়, তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। বিধানসভায় তা সম্ভব না হলেও এ বার বায়রনের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে।
সোমবার হাই কোর্টেরই এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলার আর্জি জানান। বিচারপতির বেঞ্চ ওই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে।

আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায় এর আগে সাগারদিঘির বিধায়কের পদ খারিজ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, দলবদলের পর বিধায়ক পদও যেন বাতিল করা হয় তাঁর। চিঠির উত্তর না পেলে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র। জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ও অধ্যক্ষের তরফ থেকে সেইমতো উত্তর না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন সৌম্যশুভ্র।

ভারতীয় সংবিধানে দলত্যাগ বিরোধী আইন রয়েছে। রাজীব গান্ধীর সময়ে তৈরি হয়েছিল সেই আইন। তবে বায়রন আদৌ এই আইনের আওতায় পড়বেন? যদিও, এর উত্তর দিতে গিয়ে খোদ বিধায়ক বলেছিলেন যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। তাই পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। যদি নিয়ম অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হতো, তাহলে তিনি পদত্যাগ করে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াতেন।
