প্রসঙ্গ পেগাসাস: বিচারপতি মান্থার শুভেন্দুকে দেওয়া সুরক্ষা কবচ নিয়ে সরব তৃণমূল

শুভেন্দু প্রকাশ্য জনসভায় বলছে, কে কাকে ফোন করে তার সমস্ত কল রেকর্ড আছে। কেন্দ্রীয় সরকার তার হাতে আছে। এটাই কী পেগাসাস? প্রশ্ন তোলেন কুণাল

ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। যার আঁচ সবচেয়ে বেশি পড়েছে বাংলায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এই দুর্ঘটনার জন্য সিগন্যালিং ব্যবস্থার বড়সড় গাফিলতি ছিল বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ঘটনার পরই দুই রেল আধিকারিকের একটি চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ সামনে আনেন কুণাল। সেই অডিও ক্লিপে সিগন্যালিং নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন রেলের আধিকারিকরা।

এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, “তৃণমূলের মুখপাত্র কীভাবে পেলেন অডিও ক্লিপ, সেটাও সিবিআই তদন্তের আওতায় আনা উচিত। রেলের দুই আধিকারিকের কথোপকথন তাঁরা কেউ রেকর্ড করেননি। ফোন ট্যাপ করে সেই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে, এটাও তদন্তের আওতায় রাখা উচিত।” শুভেন্দুর আরও দাবি, কলকাতা পুলিশের এসটিএফ রেল আধিকারিকদের ফোন ট্যাপ করে তা তৃণমূলকে দিয়েছে। এই রেল দুর্ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে তৃণমূলের।

আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তারই পাল্টা দেন কুণাল ঘোষ। একটি ভিডিও ক্লিপ চালান কুণাল। যেখানে শুভেন্দু প্রকাশ্য জনসভায় বলছে, কে কাকে ফোন করে তার সমস্ত কল রেকর্ড আছে। কেন্দ্রীয় সরকার তার হাতে আছে। এটাই কী পেগাসাস? প্রশ্ন তোলেন কুণাল। পেগাসাস অধিকারীকে ছ্যাঁকা দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি দুই রেল অফিসারের অডিও ক্লিপ টুইট করেছি। বেশ করেছি। তদন্ত হলে বুঝে নেব। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো কেন্দ্রের সরকারের জোরে সব ফোন, কল রেকর্ডের কথা বলে বেড়ায়। এই পেগাসাস অধিকারী গ্রেপ্তার হবে না কেন? কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ো না দলবদলু CBI FIR Named. ঘুঘু দেখেছো, ফাঁদ দেখনি এখনও।”

কুণালের সংযোজন, সরকারের গোপন তথ্য কীভাবে গদ্দারের হাতে? তমলুক থানায় এফআইআর হয়েছিল। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে কেস শুরু হয়। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁকে রক্ষাকবচ দেন। আবার ওই বছরই ডিসেম্বরে গিয়ে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আর আজকে হাইকোর্টের সেই রক্ষাকবচ নিয়ে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে গদ্দার। সুরক্ষা কবচের অপব্যবহার করছে। বিচারপতি মান্থা কি চোখে দেখতে পারছেন না, কানে শুনতে পারছেন না? অবিলম্বে বিচারপতি মান্থার উচিত রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া। আদালত তো স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এটা করতেই পারে।”

Previous articleনিশানায় বাড়ির মহিলারা: PTI কর্মীদের দলত্যাগ নিয়ে সেনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইমরান
Next articleব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ প্রত্যাহার করল নাবালিকা কুস্তিগির