পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির মামলা এবার কলকাতা হাইকোর্টের নতুন ডিভিশন বেঞ্চে

রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির মামলা কলকাতা হাইকোর্টের নতুন ডিভিশন বেঞ্চে গেল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা পাঠালেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এই সপ্তাহেই পুরসভার নিয়োগ-দুর্নীতির মামলার শুনানি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় রাজ্য। পরবর্তীকালে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফিরিয়ে দেয়। তা চলে যায় প্রধান বিচারপতির কাছে।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। তার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ওএমআর শিট মেলে। ইডির দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন প্রমোটার অয়ন শীল। অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম পাওয়া যায়। এই ডাস্টবিনেই পাওয়া যায় পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া নাম দেখা যায় অয়নের।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মামলা হাইকোর্টে  ফিরিয়ে দেয়।  এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Previous articleঅন্নদাতাদের জীবনে উন্নয়নের জোয়ার আনার অঙ্গীকার, সিঙ্গুরে ট্রাক্টর ব়্যালিতে অভিষেক
Next articleমোদির রাজ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতা: বলে হাত দেওয়ায় কাটা হল দলিতের আঙুল