বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না, পঞ্চায়েতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সতর্কবার্তা কুণালের

সতর্ক ও সাবধানী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিন্দুমাত্র যাতে অশান্তি না হয়, সেদিকে নজর শীর্ষ নেতৃত্বের। কোনওরকম অশান্তি ঠেকাতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ

পঞ্চায়ের ভোটের দামামা বাজতেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে আসছে। মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে কিছু হিংসার ঘটনা ঘটছে। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ডোমকল থেকে অশান্তির খবর আসছে। আসানসোল ও বিষ্ণুপুরেও বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে সার্বিকভাবে এই ঘটনাকে কখনই ২০১৮ সালের হিংসার সঙ্গে তুলনা করা চলে না।

যদিও সতর্ক ও সাবধানী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিন্দুমাত্র যাতে অশান্তি না হয়, সেদিকে নজর শীর্ষ নেতৃত্বের। কোনওরকম অশান্তি ঠেকাতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দলের স্পষ্ট নির্দেশ, কেউ কোনও ঝামেলায় জড়াবেন না। দল বিরোধী কাজ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।

স্থানীয় নেতৃত্ব ও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিরোধীরা নাকি সব আসনে প্রার্থী দেবে। কিন্তু তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না। বিরোধীরা তাদের সেই লিস্টটা আগে প্রকাশ করুক। তাদের তো প্রার্থীই নেই। ফলে দু-একটা জায়গায় অশান্তি করে গল্পটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দলের নেতা, কর্মীদের খুব স্পষ্ট ভাবে বলছি, মুখ্যমন্ত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে কোনও অবস্থায় কেউ সেই নির্দেশ থেকে বিচ্যুতি হবেন না। কোথাও কোনওরকম স্থানীয় সংঘাত তৃণমূল কংগ্রেস বরদাস্ত করবে না। বিরোধীরা নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে প্ররোচনা দেবে, সংঘর্ষের ছবি তৈরি করে দেখাতে চাইবে। সেই ছবি নিয়ে রাজনীতি করবে, কোর্টে যাবে। তাদের ফাঁদে পা দেবেন না।”

কুণাল আরও বলেন, “দলের কোনও নেতা বা প্রার্থী যদি দাপট দেখাবার স্বার্থে বা নিজের এলাকায় জিততে হবে এই উদ্দেশ্যে মানুষের সমর্থনের বাইরে কোনওরকম গাজোয়ারি করেন তাহলে দল বরদাস্ত করবে না। দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের কোনও নেতা বা কর্মী যদি আইন বহির্ভূত কাজ করেন তাহলে তার দায় দল নেবে না। এলাকায় দখলদারি করার নামে আপনি দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবেন , এই ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে দল কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিশ প্রশাসনকে যেমন সরকারও অনুরোধ করেছে তেমনি দলের তরফেও আমরাও বলছি কড়া হাতে যে কোনও উত্তেজনা আপনারা দমন করুন। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস তাদের সাংঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে হামলা করছে প্রয়োচনা দিচ্ছে। ওদের ওটা দরকার। গন্ডগোলের ছবি ওদের দরকার। ওটা নিয়েই ওরা রাজনীতি করবে। অধিকাংশ জায়গায় উন্নয়নের নীরিখেই তৃণমূল জিতবে। যদি বিরোধীরা নমিনেশন দিতে চায়, দিতে দিন। বিরোধীরা চেষ্টা করেও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না।”

Previous articleপঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার
Next articleএনসিপির নয়া কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে প্রফুল্ল প্যাটেল ও সুপ্রিয়া সুলে