পঞ্চায়েত ভোটে নেওয়া বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি বেসরকারি বাস মালিকদের

রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করতে প্রচুর বাসের প্রয়োজন হয় নির্বাচন কমিশনের। সে কারণে সরকারি এবং বেসরকারি বাস ভাড়া নেয় কমিশন। কিন্তু এ বার বাস ভাড়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন-সহ রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে আসরে নেমেছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি সাজিয়ে পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়েছে দু’টি বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। সেই চিঠিতে ভোটের কাজে বাসগুলির ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।

তাঁদের যুক্তি, গত কয়েক বছরে ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম লাগামছাড়া বেড়েছে। ভোটের কাজে গাড়ি ভাড়া দেওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিক।
সম্প্রতি পরিবহণ দফতরে নিজেদের দাবিসনদ জমা দিয়েছেন সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস।
সংগঠনের বক্তব্য, বাস ভাড়া দেব, কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবং পরিবহণ দফতরের আমাদের দাবিগুলিও খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, বাস চালানোর খরচ দিন দিন বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, এত দিন পর্যন্ত বেসরকারি কোনও বাস ভাড়ায় নিলে নির্বাচন কমিশন দিন প্রতি ২৩০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিত। সংগঠন সেই ভাড়া বাড়িয়ে দিন প্রতি ৩ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরে একটি ডেপুটেশন জমা দিয়েছিল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ সিন্ডিকেট। সেই ডেপুটেশনে মোট সাতটি দাবির উল্লেখ করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে দৈনিক বাস ভাড়া সাড়ে ৩ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি দিন বাসের তিন জন করে শ্রমিককে ৩০০ টাকা করে খোরাকি দেওয়ার আবেদন করেছিল বাস সিন্ডিকেট।

এরই পাশাপাশি তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাকালীন ডিজেল ও মোবিল সরবরাহের দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিক। এমনকি, বাস ভাড়ার ৭৫ শতাংশ অগ্রিম দিতে হবে। ভোট প্রক্রিয়া মিটে গেলে ১৫ দিনের মধ্যে বাকি বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।

Previous articleবেপ.রোয়া গতির জের! পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সং.ঘর্ষে আ.হত ২২
Next articleপাঁচতলা থেকে নীচে শিশু, তারপর…