মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পথে কেজরিওয়াল! রামলীলা ময়দানে ‘মহা সমাবেশ’ আপের

এতদিন বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বিরোধী নেতাদের সমর্থন চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ বার কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নিজেদের খাসতালুক দিল্লিতে শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছে আম আদমি পার্টি।

কেন্দ্রের অধ্যাদেশের (Ordinance) বিরুদ্ধে মেগা সমাবেশ (Mega Rally) আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party)। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে (Modi Govt) রবিবার একহাত নেবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Aravind Kejriwal)। কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে এদিন দিল্লির রাজপথে নেমেছে আপ। রামলীলা ময়দানে (Ramleela Maidan) আম আদমি পার্টির মেগা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে মোদিকে এই সমাবেশ থেকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিনের মহাসমাবেশে এক লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছে আপ।

এতদিন বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বিরোধী নেতাদের সমর্থন চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ বার কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নিজেদের খাসতালুক দিল্লিতে শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছে আম আদমি পার্টি। আপের দাবি, এই সমাবেশে প্রায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে চলেছে। রবিবার ছুটির দিন হলেও রাজধানীর বিস্তীর্ণ অংশে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আঁটসাঁট করা হয়েছে দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিকে আপের মুখপাত্র রীনা গুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁদের আশা অন্তত এক লক্ষ মানুষ রবিবার রামলীলা ময়দানে আসবেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, আমরা এই সভার জন্য সর্বত্র প্রচার করেছি। সাধারণ মানুষকে এটা বোঝাতে পেরেছি যে, এই অর্ডিন্যান্স কার্যকর হলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে কতটা প্রভাব পড়বে।

আপ সূত্রে খবর, দিল্লির আপ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পাঞ্জাব থেকেও বহু নেতাকর্মী ‘মহা সমাবেশে’ যোগ দেবেন। সভায় কেজরীওয়াল ছাড়াও বক্তব্য রাখতে পারেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সভাস্থলে ১২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে রামলীলা ময়দান সংলগ্ন এলাকায়। এদিনের সমাবেশে কেজরিওয়ালের সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং সৌরভ ভরদ্বাজ, অতীশি এবং সঞ্জয় সিং সহ দলের বরিষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।  নিজের রাজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য আপ সুপ্রিমো এখন কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর জোগাড় করতে চান। দিল্লি সরকারের অধীনে কর্মরত আমলারা। তাঁদের নিয়োগ বা বদলির ওপর কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, তাই নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আপ সরকারের বিবাদ চরমে। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা পাস কাটিয়ে জারি করা হয় নতুন অধ্যাদেশ। কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ক্ষমতা থাকবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে। যিনি আবার কেন্দ্রের প্রতিনিধি। এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে আগে থেকে সুর চড়িয়েছে আপ। অর্ডিন্যান্স অনুসারে, দিল্লিতে আধিকারিকদের বদলি-পোস্টিংয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কোন অধিকার থাকবে না।

 

 

 

 

Previous articleশিয়রে বিপর্যয়! কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?
Next article‘আমি এখনো ম.রিনি’, উৎপল সিনহার কলম