আইনের অপব্যাখ্যা করে মতুয়াদের বি.ভ্রান্ত করছেন শান্তনু: অ.ভিযোগ স্নেহাশিসের

শান্তনু ঠাকুর নিজের স্বার্থে মতুয়া সমাজকে বিভান্ত করছেন। ওঁর হিম্মত থাকলে ২০০৩ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকারের আনা নাগরিক সংশোধনী আইনের সেকশন ২ বি ধারাকে বিলোপ করে দেখান। যে আইন মতুয়া সম্প্রদায়কে ‘অনুপ্রবেশকারী’ তকমা দিয়ে অস্তিতের সঙ্কটে ফেলে দিয়েছিল। এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

২০০৪-এ এর অনশন ও তীব্র আন্দোলন করতে হয়েছে মতুয়া সমাজকে। দিল্লি পর্যন্ত গড়ায় আন্দোলন। কটাক্ষ করে স্নেহাশিস বলেন, শান্তনু ঠাকুর হয় এসব জানেন না, নয় জেনেও নিজ স্বার্থে বিজেপির সঙ্গী হয়েছেন। বিজেপি সরকার মতুয়াদের অনুপ্রবেশকারী বানিয়ে এখন খুড়োর কলের মতো সিএএ ঝুলিয়ে রেখেছে। যদিও এটা কোনোদিনই তারা চালু করবে না বলে মত পরিবহন মন্ত্রীর। এই আইন তৈরি হয়েছিল ফরেনার ট্রাইবুনালে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৩১,৩১৩ জন আবেদনকারীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটা মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য নয়। শান্তনু এটা জেনেও বিভ্রান্ত করছেন, আর বিজেপির রাজিনীতি ঢুকিয়ে ঠাকুরবাড়িকে কালিমালিপ্ত করছেন।

হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ঠাকুরনগরকে কেন্দ্র করে নানা পরিকাঠামো গড়ে তুলেছেন। বীণাপাণি দেবীর পাশে আমৃত্যু থেকেছেন তিনি। মতুয়া সম্প্রদায়ের অধিকাররক্ষার লড়াইয়ে থাকছেন। তাদের সার্বিক উন্নয়ন করেছেন, পাট্টা দেওয়ার মাধ্যমে জমির অধিকার দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- ভোটের মুখে মোদি সরকারের ‘চাল’! বাংলার জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে কী করেছেন শান্তনু ঠাকুর? মতুয়া সমাজকে বিভ্রান্ত করেছেন- অভিযোগ স্নেহাশিসের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্দিরে ঢুকতে না দিয়ে ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছেন বিজেপি সাংসদ। স্নেহাশিস সাফ জানান, ঠাকুরবাড়ির মন্দির গুন্ডামির জায়গা নয়। বীণাপাণি দেবীর আত্মাকে কষ্ট দিলেন শান্তনু।

 

Previous articleসুনীলের গোলে ভানুয়াতুকে ১-০ গোলে হারাল টিম ইন্ডিয়া
Next articleপুরসভার নিয়োগ দু*র্নীতি মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত