অলিম্পিক পদকজয়ী স্প্রিন্টারের মৃ*তদেহ বেডরুম থেকে কেন মিলল ১০ দিন পর?

৩২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টারের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। মেডিকেল রিপোর্ট যা-ই বলুক না কেন, বাওয়ির এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

রিও অলিম্পিকে ১০০ মিটারে ছিল রুপো, ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ, আর ১০০ মিটার রিলেতে অ্যাঙ্কর করেছিলেন তিনি। সেই সুবাদে মেয়েদের রিলেতে আমেরিকা অলিম্পিকে জিতেছিল সোনা। সাত বছর আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তিনি যে সুনাম অর্জন করেছিলেন, তা এখনও ভোলেনি দেশবাসী। স্প্রিন্টারদের দুনিয়ায় দুরন্ত উত্থান হয়েছিল টরি বাওয়ির । সেই তিনিই হঠাৎ মারা গেলেন। ৩২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টারের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। মেডিকেল রিপোর্ট যা-ই বলুক না কেন, বাওয়ির এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
৩০ এর কোঠায় পা রাখার আগেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন বাওয়ি। ঠাকুমার হাত ধরে মিসিসিপিতে আসা বাওয়ির। প্রথম প্রেম ছিল বাস্কেটবল। সেই সময়ই ট্র্যাকে পা রাখেন ছোট্ট বাওয়ি। তাঁর পরিশ্রম এবং তাগিদ দ্রুত সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়েছিল।যে কোনও অ্যাথলিটের স্বপ্ন থাকে অলিম্পিকে পদক পাওয়া। ১-২টো নয়, বাওয়ি তিন তিনটে পদক পেয়েছিলেন রিও অলিম্পিক থেকে।
প্রবল জনপ্রিয় এই কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাথলিটের মৃত্যু ধীরে আমেরিকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেন হঠাৎ মৃত্যু বাওয়ির? জানা গিয়েছে, তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অটোপসি রিপোর্ট বলছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।যদিও বাওয়ির মৃত্যুতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি।
অবশ্য সরকারি মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, এই জনপ্রিয় স্প্রিন্টারের মৃত্যু ঘিরে কোনও রহস্য নেই।সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের হল, বাওয়ি যে মারা গিয়েছেন, তা বেশ কয়েক দিন পর জানা গিয়েছিল। কয়েকদিন তাঁকে দেখতে না পেয়ে অরেঞ্জ কাউন্টির বাড়িতে যান সরকারি আধিকারিকরা। তখনই দেখা যায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ঘরে। বলা হচ্ছে, তিনি ২৩ এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন।প্রায় ১০ দিন পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বেডরুম থেকে।

Previous articleকয়লা পা.চারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাজুর! CBI তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের
Next articleজর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ‘প্লেসমেন্ট ফেয়ার ২০২৩’!