সাফল্যের ৫০ দিন পার! নবজোয়ার যাত্রার অর্ধশত দিবসে মানিকতলায় তৃণমূলের জয়গান

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya), কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), পরেশ পাল(Paresh Pal) , মদন মিত্র (Madan Mitra), স্নেহাশিস চক্রবর্তী, দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya), সুদীপ রাহা, ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী (Ayan chakrabarty)সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।

নবজোয়ার যাত্রার ৫০ দিন পার, বৃহস্পতিবার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নবজোয়ার কর্মসূচির নজিরবিহীন সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya), কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), পরেশ পাল(Paresh Pal) , মদন মিত্র (Madan Mitra), স্নেহাশিস চক্রবর্তী, দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya), সুদীপ রাহা, ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী (Ayan chakrabarty)সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন শ্রেয়া পান্ডে (Shreya Pandey)। ঘর পরিবার ছেড়ে শুধুমাত্র মানুষের মতামত নেওয়ার জন্য যে নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রারম্ভেই তার নাম বদলে জনগণ একে করে তুলেছেন জনজোয়ার যাত্রা। সেই যাত্রার অর্ধশত দিন অতিক্রান্ত। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ শুধুই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস উন্মাদনায় ভেসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামীকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এক মঞ্চে এই নবজোয়ার যাত্রার শেষ দিনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবেন কাকদ্বীপে। তাঁর ঠিক আগের সন্ধ্যায় মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের (Maniktala Assembly) তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই নবজোয়ার (Trinamoole Nabojowar) যাত্রার ৫০ তম দিন উপলক্ষে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল সেখানে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সাফল্য সাধারণ মানুষ থেকে সংবাদমাধ্যম সর্বত্রই ধরা পড়েছে। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই গেছেন মানুষ তাঁকে আবেগে, ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেছেন। এতেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে তৃণমূল মানুষের অন্তরে রয়েছে রয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে, গ্রাম বাংলার মানুষের মতামত নিয়ে আগামী দিনে বাংলাকে দেশের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে এই যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee)। কর্মসূচির শেষ লগ্নে পৌঁছেও আত্মবিশ্বাসী অভিষেক জানিয়েছেন কেন্দ্রের বঞ্চনা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।

এদিনের অনুষ্ঠানে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নাম বদলে মোদি সরকার কবচ রেখেছে। কিন্তু সেই কবজ তৈরির টাকায় নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মহারাষ্ট্র কর্নাটকে বিধায়ক কেনাবেচা করেন। পাশাপাশি খেলা হবে স্লোগানের কথা মনে করিয়ে দেবাংশু বলেন ২০২১ এ বাংলার মানুষ ব্যাট করেছিলেন , আর এবার বল করতে হবে। তিনি বলেন বাংলার মানুষের দক্ষ বোলিংয়ে এখানে হাতে গোনা যে কজন বিজেপির সাংসদ আছেন, তাঁদের উইকেট গণতান্ত্রিকভাবে সহজেই ফেলে দেওয়া যাবে।

কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন শেষ দিনেও মনোনয়নে চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে মদন মিত্র বলেন যেভাবে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন তাতে বাকিদের আর অন্য কিছু করার প্রয়োজনই হচ্ছে না।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মোদি সরকারকে মূল্য বৃদ্ধির সরকারও বলে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, জন বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রতি যে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে চলেছে, তার বিরুদ্ধে মানুষ আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের বঞ্চনা ও প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের যজ্ঞে যুক্ত থাকা প্রতিটি মানুষ এবং দলীয় নেতৃত্বকে তিনি সম্মান করতে শিখিয়েছেন। এর পাশাপাশি যদি কোথাও কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে, সেটা হতে পারে মাত্র এক শতাংশ। তবে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি দিয়ে ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকেও সকলের সামনে তুলে ধরে কুণাল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পায় না। এতে বরং লাভই হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সগর্বে বলা যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক উপায়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ জিতিয়েছেন । তিনি প্রশ্ন তোলেন যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তাঁরা কি জীবনদায়ী ওষুধ, পেট্রোপণ্য, কৃষকের কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত সারের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ভোট দিয়েছিলেন? বাংলাকে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করে সেই টাকা আদানি আম্বানিদের শেয়ারে ব্যবহার করে মুনাফা লুটেছে মোদি সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ৩৪ বছরের বাম জামানাকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। সেখানে দাঁড়িয়ে দলবদলু, গদ্দার, রেজিস্টার্ড চোর, মীরজাফরদের নিয়ে তৈরি বিজেপিকে তৃণমূল গুরুত্ব দেয় না। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যত বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখাবে, মানুষ তত বেশি করে তৃণমূলের পাশে এসে দাঁড়াবে।


 

Previous articleপার্লামেন্টে যৌ.ন নি.র্যাতনের শি.কার সেনেটর? অভি.যোগ ঘিরে চা.ঞ্চল্য! 
Next articleলেবাননের সঙ্গে গোলশূন‍্য ড্র ভারতের