রথযাত্রায় বুকিং শুরু হল যাত্রাপালার। সেই সঙ্গে বাগবাজারে ফণীভুষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চে সূচনা হল এবছরের যাত্রা মরসুমের। নতুন নতুন পালা নিয়ে আশাবাদী অভিনেতা থেকে পরিচালক, প্রযোজকরা।চিরাচরিত রীতি মেনে এদিন থেকেই বুকিং হল যাত্রাপালার।
মঙ্গলবার বাগবাজারে ফণীভুষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চে প্রকাশিত হল পোস্টার, ‘যাত্রাদর্পণ’ পত্রিকার। যাত্রাপালার কলাকুশলী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পালার প্রযোজক ও পরিচালকরা। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমির সভাপতি বিদ্যুত্মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সহ সভাপতি ইন্দ্রনীল সেন। এদিন দেবীবন্দনা অপেরা ‘আয় আমটি খাব পেড়ে’ পালার জন্য প্রথম পুরস্কার পায়। তারা ১৯২ টি পালা করে সেরার পুরস্কার পায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, যাত্রাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমি ভবনে এই অনুষ্ঠান অবশ্যই সফল হবে।
অরূপ বিশ্বাস বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছিল যাত্রাদলগুলি। এখন ফের তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফের সূচনা হল। বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই যাত্রা শিল্প। ‘যাত্রা দর্পণ’ পত্রিকায় এখন সব যাত্রাপালার প্রযোজকদের নাম, ঠিকানা পাওয়া যায়। এখন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ৬৪৮ জন শিল্পী ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান পান।
পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমির সহ সভাপতি ইন্দ্রনীল সেন বলেন, বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের রুটিরুজি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যাত্রাশিল্প ফের স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। যাত্রাকে এখন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সবমিলিয়ে ফের যাত্রাশিল্পে খুশির ছোঁওয়া।