ভাড়াটে যোদ্ধার দল ওয়াগনার বাহিনীর (Wagner Group) ভয়ে রাশিয়া (Russia) ছেড়ে পালিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), এমনই দাবি পাশ্চাত্যের একাধিক সংবাদমাধ্যমের। একসময় পুতিন অনুগত ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন (Prigozhin) ইতিমধ্যে গৃহযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। একাধিক রুশ শহর দখলের পথে তাঁর যোদ্ধার দল। নিজের বাহিনীর প্রতি প্রিগোজিনের হুঙ্কার, আমাদের পথে যা আসবে তাকেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। পালটা প্রতিরোধ তৈরি করছে রুশ সেনা। আর এমন জল্পনা, সংঘর্ষের আবহে দেশ ছেড়েছেন পুতিন। যদিও ক্রেমলিন বিবৃতি দিয়েছে, রাজধানী মস্কোতেই আছেন পুতিন। প্রেসিডেন্টকে নিয়ে মিথ্যা খবর রটানো হচ্ছে।

তবে ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে যোদ্ধারা মধ্যে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহরে ঢুকে সেনা সদর দফতর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ারও দাবি করেছেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। আর এমন পরিস্থিতিতে ওয়াগনার গ্রুপের সামরিক বহর মস্কোর দিকে এগিয়ে যাওয়ায় পুতিন পালিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্লাইট রাডারের তথ্যমতে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের একটি বিমান মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে উড়ে যাওয়ার পর তা রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর থেকেই পুতিনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পুতিনের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ক্রেমলিনে কাজ করছেন।


সূত্রের খবর, বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনীকে আলোচনার রাস্তায় নিয়ে আসতে বড় ভূমিকা পালন করেন প্রতিবেশী বেলারুশের প্রসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। ভাড়াটে ফৌজের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শনিবার বিদ্রোহীরা প্রায় মস্কোর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। রাজধানী শহর থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু আর না এগিয়ে, দ্রুত তাঁদের ব্যারাকে ফেরার নির্দেশ দেন প্রিগোজিন। এদিকে শনিবারই আচমকা দক্ষিণ রাশিয়ার শহর রোস্তভ দখল করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নিজস্ব ভাড়াটে সেনাবাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোরেনেজ নামের আরও এক রুশ শহর কব্জা করে প্রিগোজিন ‘ওয়াগনার গ্রুপ’। এরপরই দাবানলের মতো গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ভাড়াটে সেনার বিদ্রোহী হওয়ার খবর।

কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে রবিবার টুইটারে মজা করলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রবীণ নেতা ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি (Abhishek Manusinghvi)। অভিষেক লিখেছেন, ওয়াগনার মস্কোকে পরাস্ত করতে চলেছিলেন। পুতিনও পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন। তারপরই ইজিপ্ট থেকে ফোন আসে এবং সব ফের ঠিকঠাক হয়ে যায়। পাশাপাশি কটাক্ষ করে অভিষেক এও বলেছেন, অহঙ্কার করার দরকার নেই, তবে এটাই হয়েছে।


Wagner was about to decimate Moscow.
Putin was about to resign.
Then came a phone call from Egypt & all was well again.
Ghamand nahi karna but ye hua hai.— Abhishek Singhvi (@DrAMSinghvi) June 25, 2023