সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হচ্ছে না: স্বীকার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহার

বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও মোদি জমানায় দেশে বেকারত্বের ভয়াবহ ছবিটা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার খোদ বিজেপি(BJP) সাংসদ জয়ন্ত সিনহা(MP Jayanta Singha) স্বীকার করে নিলেন সংগঠিত ক্ষেত্রে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশবাসীকে ভালো চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন সরকারের।

শিল্প সংস্থা আইএমসি চেম্বার অফ কমার্স দ্বারা বুধবার আয়োজিত একটি যুব সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সিনহা বলেন, যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তি আমাদের সামনে রয়েছে তখন ভারতের জন্য ভাল চাকরি তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব প্রযুক্তি ‘চাকরি নষ্ট করার’ অন্যতম বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি তৈরি করতে হবে। এর হার বর্তমানে অত্যন্ত সংকটজনক। দেশের যুবকদের জন্য উপযুক্ত চাকরি তৈরি করতে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন ভারতে বর্তমানে ১৮-৬৪ বছর বয়সী কর্মীর সংখ্যা এক বিলিয়নেরও বেশি এবং আগামী দশকে আর ২০ কোটি যুবক এই তালিকায় যুক্ত হবেন, যার জন্য অবিলম্বে সরকারের তরফে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাঁর কথায়, “আপনি যখন গ্রামীণ ভারতে, ছোট শহর বা শহরে চাকরি সম্পর্কে লোকদের জিজ্ঞাসা করেন, তারা সবাই সংগঠিত ক্ষেত্রে ভাল চাকরি চায়। এবং আমরা তাদের জন্য পর্যাপ্ত উচ্চ মানের চাকরি তৈরি করছি না।”

সিনহা বলেন, খামার থেকে কারখানার মডেলটি শিল্পায়ন ও নগরায়নকে ঘিরে। এই মডেলটি শিল্প বিপ্লবের পর থেকে কাজ করেছে এবং ব্রিটেন থেকে চিন পর্যন্ত অর্থনীতিতে সাহায্য করেছে। তবে এই মডেলটি আগামী দিনে আর কাজ করবে না এবং ভারতকে তার নিজস্ব বৃদ্ধির মডেল ডিজাইন করতে হবে, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই সমৃদ্ধির পথে হাঁটতে হলে দেশকে শুধু জ্বালানি খাতে নয়, সমগ্র অর্থনীতিতে ‘দ্রুত ও রূপান্তরমূলক সমন্বয়’ করতে হবে। তিনি আর জানান, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন শূন্য নির্গমনের প্রতিশ্রুতি অর্জন করতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এ জন্য কর্পোরেট সংস্থাকেও এতে অংশ নিতে হবে।