বিলাসবহুল জীবনের জন্য মালিকের বাড়িতে নিত্য চু.রি প্রৌঢ় দম্পতির! 

বাড়ির লোকেরা গত এপ্রিল মাসে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন।গৃহকর্ত্রী তাঁর গয়না আলমারিতে রেখে যান। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন বেশ কয়েকটি গয়না উধাও।

বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, ভাল থাকার ইচ্ছে যে কোনও বয়সেই মনের মধ্যে আসতে পারে। জীবনের বাকি দিনগুলো একটু (বিলাসবহুল জীবনযাত্রার luxurious lifestyle) মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করার জন্য তাই মারাত্মক ছক কষে ছিলেন এক প্রৌঢ় দম্পতি(Elderly Couple)। বড়লোক বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করার সুযোগ নিয়ে দু’মাস ধরে একটি একটি করে গয়না চুরি। তারপর স্বামীর মাধ্যমে তা পাচার করে মোটা টাকা রোজগার। অনেকটা টাকা হাতে আসার পরই মনের আনন্দে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা। কিন্তু সেখানেই সব শেষ।মাল্টিপ্লেক্সে পৌছানোর আগে গ্রেফতার হন ওই প্রৌঢ় দম্পতি। শেষ জীবনটা আর সিনেমার মতো হলো না।

লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দা সূত্রে খবর দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার চণ্ডী ঘোষ লেনের একটি বাড়িতে কাজ করতেন পবিত্রা সরকার (Pabitra Sarkar)। তাঁর স্বামীর নাম গোপাল সরকার (Gopal Sarkar)। প্রৌঢ়া বলে বাড়ির লোক চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতেন ওই মহিলাকে। স্বপ্নেও ভাবা যায়নি এমন মারাত্মক প্ল্যান করেছেন দম্পতি। বাড়ির লোকেরা গত এপ্রিল মাসে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন।গৃহকর্ত্রী তাঁর গয়না আলমারিতে রেখে যান। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন বেশ কয়েকটি গয়না উধাও। অথচ দরজা বা আলমারি ভাঙার কোনও চিহ্ন নেই, এমনকি আলমারির চাবিও যথাস্থানেই রয়েছে। সন্দেহ হওয়াতে তাঁরা রিজেন্ট পার্ক থানায় (Regent park police station) অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সরাসরি অভিযোগ না আনলেও গৃহকর্ত্রী প্রাথমিকভাবে পরিচারিকাকেই সন্দেহ করতে শুরু করেন। তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখেন গোয়েন্দারা। প্রৌঢ় দম্পতিকে টালির বাড়িতে থেকেও বিলাসবহুল জীবনযাত্রা বজায় রাখতে দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। এরপর বুধবার তাঁরা সিনেমা দেখতে গেলে মাঝপথেই অ্যারেস্ট করা হয়। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে ওই দম্পতি চুরির কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

 

Previous articleমোহনবাগান মাঠে মার্টিনেজকে দেখার জন‍্য কী করতে হবে সমর্থকদের? জানাল সবুজ মেরুন ক্লাব
Next articleফের নাকচ জামিনের আবেদন! জেল হেফাজতেই ঠাঁই অনুব্রতর