রাজভবন থেকে বিজেপির ভাষণ পাঠ রাজ্যপালের! হিং.সা ইস্যুতে তোপ কমিশনকে

পার্টির ব্যানার ছাড়াই সমহিমায় রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন বাংলার রাজ্যপাল(governor) সিভি আনন্দ বোস(CV Anand Bose)। রাজভবনের(Raj bhavan) গরিমা ধুলোয় মিশিয়ে বকলমে বিজেপির ক্যাডার হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনও কার্পণ্য করছেন না তিনি। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে(Election commission) তোপ দাগলেন বঙ্গের রাজ্যপাল। কার্যত বিজেপির লিখে দেওয়া ভাষা পাঠ করা হলো রাজভবন থেকে। কমিশনকে তোপ দেগে রাজ্যপাল বললেন, “মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ হোক।” তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয়, সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির নেতারা গোপন ব্যালট ছাপার যে অভিযোগ তুলেছেন, আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির সেই অভিযোগ শোনা গেল রাজ্যপালের মুখেও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি নিজের পদের গরিমাকে সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে বিজেপির এজেন্ট হয়ে উঠেছেন সিভি আনন্দ বোস!

বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেন, “আগুন নিয়ে খেলা চলছে, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা চলছে। মানুষের চোখের জল দেখেছি আমি। শিশুরা কাঁদছে। মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ হোক।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ভাঙড়, কোচবিহার, পুরুলিয়া, বাসন্তীর ঘটনার দায় কার? এতগুলি মৃত্যুর দায় কার, জবাব দিতে হবে কমিশনকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করা।” নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলে সরাসরি অভিযোগ করেন বোস।

তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, সম্প্রতি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলকে জেতাতে নকল ব্যালট পেপার ছাপা হচ্ছে। বিজেপির সেই সুরে সুর মিলিয়ে এদিন রাজভবনে বসে সরব হতে দেখা গেল রাজ্যপালকে। বিজেপির বক্তব্যকে মানুষের বক্তব্য হিসেবে চালিয়ে তিনি জানালেন, “মানুষ বলছেন, নকল ব্যালট পেপার ছাপা হচ্ছে, খতিয়ে দেখুন। দ্রোণাচার্য হয়ে উঠুন, অশ্বত্থামা হয়ে যাবেন না। বাংলার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। রাজধর্ম পালনের জন্য রাজ্যপাল এখানে বসে আছেন। নির্বাচন কমিশনার গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি, আপনিও বোঝার চেষ্টা করুন। মানুষের সুরক্ষায় সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। মানুষের কণ্ঠস্বর শোনার চেষ্টা করুন।”

তবে রাজ্যপালের এভাবে বিজেপি এজেন্টের ভূমিকা পালনকে রীতিমত কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন, “গোটা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে মাত্র ৭-৮টা বুথের ঘটনা নিয়ে এত প্রলাপের কোনও অর্থ হয় না।”

Previous articleআদিবাসী যুবকের মুখে প্র.স্বাবের পর পা ধুইয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ বিজেপির
Next articleজুলাইয়ে ‘কোণঠাসা’ টলিউড! হলজুড়ে বলি-হলি-র দাপট