আদিবাসী যুবকের মুখে প্র.স্বাবের পর পা ধুইয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ বিজেপির

আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব করছেন বিজেপি বিধায়ক ! মধ্যপ্রদেশের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এবার তার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কোমরবেঁধে নেমেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। এমনকী আদিবাসী যুবককে চেয়ারে বসিয়ে ,পা ধুইয়ে , ক্ষমাও চাইলেন তাঁর কাছে। জনতাকে ‘ভগবান’ আখ্যা দিয়ে শিবরাজের দাবি, আদিবাসী যুবকের যন্ত্রণা ভাগ করে নিতে চেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃআজই SSKM হাসপাতালে অস্ত্রোপচার মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুতে

বৃহস্পতিবার সকালে ভোপালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ডেকে পাঠানো হয় আদিবাসী যুবক দাষ্মান্ত রাভেকে। সেখানেই চেয়ারে বসিয়ে যুবকের পা ধুইয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। যুবকের পা ধোয়ানোর ছবি টুইট করেন শিবরাজ। ক্ষমাপ্রার্থনা করে বিজেপি নেতা বলেন, “আমি খুবই দুঃখিত। দাষ্মান্তজির পা ধুইয়ে তাঁর যন্ত্রণা ভাগ করার চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে ক্ষমাও চাইছি তাঁর কাছে। কারণ সাধারণ মানুষই আমার কাছে ঈশ্বর।” জানা গিয়েছে, দাষ্মান্তকে সঙ্গে নিয়ে ভোপালের একটি পার্কে বৃক্ষরোপণও করেন শিবরাজ।

বেহেড মাতাল অবস্থায় সিগারেট টানতে টানতে এক আদিবাসী শ্রমিকের গায়ে প্রস্রাব করে শিরোনামে এসেছেন বিজেপি নেতা প্রবেশ শুক্লা। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল উঠে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা প্রবেশ শুক্লা সিধির বিজেপি বিধায়ক কেদার নাথ শুক্লর প্রতিনিধি। ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেন কংগ্রেস নেতা বিভি শ্রীনিবাস। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আদিবাসী শ্রমিকের মুখে-গায়ে প্রস্রাবের ঘটনা নিয়ে ২৯৪ ধারায় অশালীন কার্যকলাপ, ৫০৪ ধারায় শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে অপমানের মামলা রুজু করা হয়েছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেওয়া হয়েছে জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারাও। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তার প্রতিফলনও দেখা গেছে গতকাল বুধবার। সরকারি নির্দেশেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন সরকারি প্রতিনিধিরা।

যদিও অভিযুক্ত নেতার বাবার দাবি, “আমার ছেলে কোনওভাবেই এটা করতে পারে না। আসলে ওকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র চলছে। ভিডিওটা দেখে আমাদেরও খুব খারাপ লেগেছিল।” তবে পরিবারের কথাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় প্রবেশের বাড়ি। তারপরের দিনই আদিবাসী যুবকের পা ধুইয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

Previous articleএখনও পর্যাপ্ত বাহিনীর দেখা নেই, কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন
Next articleরাজভবন থেকে বিজেপির ভাষণ পাঠ রাজ্যপালের! হিং.সা ইস্যুতে তোপ কমিশনকে