প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘শিবপুর’ (Shibpur)। দর্শক বলছেন থ্রিলার ঘরানার এই ছবি হিন্দি ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’-এর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র দু’টি – এক পুলিশ অফিসার সুলতান আহমেদ (এই চরিত্রে রয়েছেন পরম্ব্রত চট্টোপাধ্যায়), অন্যদিকে রয়েছেন মন্দিরা (স্বস্তিকা)। কিন্তু সিনেমা থিয়াটারে দেখার পর ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। লিখলেন দীর্ঘ পোস্ট (Social Media Post)। পরিচালক ও প্রযোজকের ইগোর লড়াই (ego clash) সিনেমাকে ‘ নষ্ট’ করে দিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
শিবপুরবাসী মাত্রই জানেন নব পাঁজা, গোপাল ভট্টাচার্জের কীর্তি কাহিনী। এবার সেই গল্পকেই সিনেমার পর্দায় তুলে এনেছেন পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। সিনেমা মুক্তির আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল স্বস্তিকাকে নিয়ে। অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর গোপন ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়েছিল প্রযোজনা সংস্থা। সিনেমার ট্রেলার রিলিজেও দেখা মেলেনি অভিনেত্রীর। যদিও সিনেমায় স্বস্তিকাকে দেখে অভিভূত তাঁর ফ্যানেরা। তাঁর দাপুটে অভিনয় যে সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সমালোচকরাও। কিন্তু স্বস্তিকা নিজে ছবি দেখে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। গতকাল অর্থাৎ ৬ জুলাই নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি একটি দীর্ঘ পোস্ট করে কার্যত পরিচালক- প্রযোজকদের কাঠগড়ায় তোলেন।
তিনি লেখেন, ‘কীভাবে পরিচালক ও প্রযোজকের ইগোর লড়াইয়ে একটা ছবির চোদ্দটা বাজতে পারে ‘শিবপুর’ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। পরিচালক বাদ পড়লেন, প্রযোজক অজন্তা সিনহা রায় কোথা থেকে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হয়ে গেলেন জানি না। একদিন শুটিংয়ে এসেছিলেন কেক কাটতে, ছবির শেষ দিনে, তাছাড়া দেখিনি ওঁকে। তিনিও একটা গাল ভরা টাইটেল পেয়ে গেলেন। টাকা লাগিয়েছেন যখন, যা ইচ্ছা করাই যায়।’ এখানেই শেষ নয় অনেক প্রয়োজনীয় দৃশ্য শুটিং হওয়া সত্ত্বেও সিনেমায় নেই দেখে অভিনেত্রীর বিশ্বাস এডিটিং বিভাগেও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। যার জন্য একটা ভাল সিনেমা নষ্ট হয়ে গেছে। নাম করে সরাসরিই অভিনেত্রীর নিশানায় ছবির প্রযোজক। অভিনেত্রীর উপসংহার, ‘অহংকার দ্বন্দ্ব সবার ওপরে জয়ী হোক। এবং, এইরকম আশ্চর্যজনক সৃজনশীল বোঝাপড়া এবং ইনপুট দিয়ে সিনেমাটিকে নষ্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ ছবি দেখে যে বেজায় চটেছেন অভিনেত্রী তা বলাইবাহুল্য।