Friday, August 22, 2025

দু-মাস বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন ইলিশ ধরার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। ওই দিন গভীর রাতেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকার অন্তত আড়াই হাজার ট্রলারে করে জেলেরা ইলিশ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি জমান।সেই ট্রলারগুলির অধিকাংশই ফিরে এসেছে। ট্রলারগুলো ফিরে আসার পর দেখা গিয়েছে, এবার ইলিশ ধরার হার আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি। এতে জেলেদের মুখে চওড়া হাসি।

গত চার দিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ড হারবার এলাকার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। আর তা বিক্রিও হচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে তা চলে যাচ্ছে কলকাতা, হাওড়ার পাইকারি বাজারে।পরপর চার বছর জেলেরা ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

তথ্য বলছে, শনিবার ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র পাইকারি বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। তবে এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়।এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইলিশ ভালো মিলছে বলে মনে করছেন জেলেরা।ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্য আড়তের ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,‘আমরা অপেক্ষা করছি আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরার জন্য। আমরা আশা করছি, এবার আমাদের জালে প্রচুর ইলিশ উঠবে।’

কলকাতা ফিশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাস বলেছেন, ‘সাধারণত শ্রাবণ মাসেই বেশি ইলিশ ধরা পড়ে। কিন্তু এবার আষাঢ় মাসে ইলিশ ধরা পড়ায় আমরা দারুণ আশাবাদী। সত্যিই হয়তো এবার আমাদের ইলিশের খরা কেটে যাওয়ার পথ খুলে যাবে।’  কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেছেন, এই রাজ্যের ইলিশ ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১১ হাজার ট্রলার।

রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার সমুদ্র উপকূলের কয়েক’শ জেলেও ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে নেমেছেন ইলিশ ধরতে। যা পরিস্থিতি, তাতে চলতি সপ্তাহে রূপোলি শস্যের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসতে চলেছে।

 

Related articles

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...

বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের আবেদনও খারিজ! আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের

ইতিহাসকে বিকৃত করার বিজেপি-আরএসএসের যৌথ পরিকল্পনায় চরম দুর্দশা বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। নরেন্দ্র মোদি মুখে বাঙালি বিপ্লবীদের নাম নিলেও...
Exit mobile version