PUBG খেলতে খেলতে ভারতীয় যুবককে মন দিয়ে ফেলেছিলেন পাকিস্তানি তরুণী।এরপর প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা সেই বধূর জামিন মঞ্জুর হল অবশেষে। মুক্তি পেতেই তিনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেছেন শনিবারই। সেই তরুণী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জানালেন, “আমার স্বামী একজন হিন্দু। আমিও তাই হিন্দু। এখন আমি ভারতীয়ও।” ভারতকেই এখন নিজের দেশ বলে মনে করছেন পাকিস্তানের সীমা হায়দার। নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধতে চান।
আরও পড়ুন:জালে পর্যাপ্ত ইলিশ, জেলেদের মুখে চওড়া হাসি
অতিমারীর সময় জনপ্রিয় অনলাইন গেম PUBG খেলতে খেলতেই মন দেওয়া-নাওয়া হয় দুই প্লেয়ারের। চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে তরুণী সীমা হায়দার পৌঁছে যান গ্রেটার নয়ডায় নিজের প্রেমিক শচীনের কাছে। তবে বেআইনি ভাবে চার সন্তানকে নিয়ে গ্রেটার নয়ডায় থাকার অভিযোগে ওই পাক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। তাঁর চার সন্তান এবং শচীনকেও আটক করা হয়।
জেল থেকে বেরিয়ে উচ্ছ্বসিত সীমা জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে ভারতীয় বলেই মনে করছেন। শচীনকে তিনি স্বামী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন। স্বামী হিন্দু, তাই তিনিও হিন্দু। ধর্ম বদলাতে কোনও আপত্তি নেই সীমার।
চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন সীমা। গত ৪ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সীমাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শচীন এবং তাঁর বাবাকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সন্তানদের নিয়ে কয়েক দিন জেলে ছিলেন সীমা। শনিবার জামিন পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘জামিনের খবর শুনে আমি আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলাম। কারণ, আমি ভেবেছিলাম অনেক মাস আমাকে জেলে কাটাতে হবে। দীর্ঘ লড়াই করে আমি এখানে পৌঁছেছি। করাচি হয়ে প্রথমে দুবাই গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নেপাল যাই। তার পর ভারতে আসি।’’
এদিকে, সৌদি আরবে কর্মরত সীমার স্বামী গুলাম হায়দার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। গুলাম দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে জামিন পাওয়ার পরে সীমার বলেন,”খবরটা পেয়ে আমি আনন্দে চিৎকার করতে শুরু করি। আমি তো ভেবেছিলাম জেলেই থাকতে হবে।” একদা অনলাইন খেলার সঙ্গীকে নিয়েই এবার নতুন জীবন শুরু করতে মরিয়া সীমা। থাকতে চান ভারতেই।
