বর্ষায় ভাসছে উত্তর থেকে দক্ষিণ। কোথাও বৃষ্টিতে বিরাম নেই। ৪১ বছরের রেকর্ড ভেঙে অতি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। জলমগ্ন উত্তর ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে। হিমাচল প্রদেশে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শনিবার হয়ে রবিবারেও তা অব্যাহত। লাগাতার বৃষ্টিতে হিমাচলে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।ভেঙে হিয়েছে প্রায় ১৫টি বাড়ি।
আরও পড়ুন:ফের স্থগিত অমরনাথ যাত্রা! আটকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী, বাড়ছে উদ্বেগ
উত্তর ভারতের দিল্লি, হিমাচলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। জল থইথই রাস্তাঘাট। বাড়িঘর, দোকানেও ঢুকে পড়েছে জল। শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। শনিবারও পাল্টায়নি আবহাওয়ার রূপ।স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টিতে নাজেহাল গোটা হিমাচল প্রদেশ। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে যায় দোকান, এটিএম। চম্বা, কাংড়া, কুলু, মান্ডি, উনা, হামিরপুর এবং বিলাসপুরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
অন্য দিকে, শিমলা, সিরমুর এবং সোলানে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে লাহুল এবং স্পিতিতে। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হড়পা বান এবং ধসের সতর্কবার্তাও দিয়েছে মৌসম ভবন। রাজ্য আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত দু’দিনে ২০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি জেলাগুলিতে ১০ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।বৃষ্টিপাতের জেরে ৯০টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে শুধু শিমলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি রাস্তা। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে বিতস্তা নদী।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে প্রবল বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে ভেসে গেলেন দুই সেনা জওয়ান। বেশ কিছু ক্ষণ পর তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।সুরানকোটের কাছে ডোগরা নালা পার হচ্ছিলেন ওই দুই জওয়ান। তখন আচমকাই হড়পা বান আসে ওই নালায়। দ্রুত সরে যেতে না পারায় জলের তোড়ে ভেসে যান দু’জনেই।