শুরু রাজ্যসভার কাউন্টডাউন! বিধানসভায় মনোনয়ন জমা তৃণমূল প্রার্থীদের

রাজ্যসভার মোট ৬টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এছাড়া, ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেরিও পদত্যাগ করায় তাঁর আসনে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) গণনা শুরু হয়েছে। বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েতও ফের একবার নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর এমন আবহে বুধবার আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে (Rajya sabha Election) মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ প্রার্থী। বুধবার বিধানসভায় সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন এবং ডেরেক ও ব্রায়েনদের পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেন নবাগত প্রার্থী প্রকাশ চিক বড়াইক, সামিরুল ইসলাম এবং সাকেত গোখলে। উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতাও।

জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার মোট ৬টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এছাড়া, ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেরিও পদত্যাগ করায় তাঁর আসনে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। আর সেই জায়গায় এবার সাকেত গোখলেকে প্রার্থী করে বড় চমক তৃণমূলের। পাশাপাশি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রকাশ চিক বড়াইক এবং কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকা সামিরুল ইসলামকে প্রার্থী করে বড় চমক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই কে টিকিট পাবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। একদিকে যেমন রাজ্যসভার পুরনো মুখ সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন এবং ডেরেক ও‘ব্রায়েনদের ফের টিকিট দেওয়া হয়েছে। তবে পুরনো মুখ শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেবকে সরিয়ে এবার রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হয় প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সামিরুল ইসলামকে।

চলতি জুলাই ও অগাস্ট মাসে, গুজরাট, গোয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মোট ১০টি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা হচ্ছে। আগামী ২৪ জুলাই এই আসনগুলিতে নির্বাচন হবে। ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এদিন মনোনয়ন পেশের পর সাকেত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের বিপুল জয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানান। সাকেত সাফ জানান, এই জয়ের পিছনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার ভূমিকা অপরিসীম। তবে বিরোধীদের শত কুৎসা, অপপ্রচার উপেক্ষা করেও মানুষ ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ হলে আগামীদিনে কী পরিকল্পনা রয়েছে সেকথাও এদিন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সাকেত।

 

 

Previous articleপ্রয়াত সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের স্ত্রী
Next articleটানা পঞ্চমবার উইম্বলডনের শেষ চারে জোকোভিচ, ফেডেরারকে ছোঁয়ার হাতছানি