বিজেপি-বিরোধীদলের দ্বিতীয় বৈঠকে নয়া চমক। উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া আলাপচারিতার জন্য বৈঠকের আগের রাতে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন সোনিয়া। সেখানে অন্যান্য জোট সঙ্গীদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আপ-কেও।

পাটনার বিরোধী বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রবল কথাকাটি হয় আপ-নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arbind Kejriwal)। বিষয়ে দিল্লি (Delhi) নিয়ে অর্ডিন্যান্স। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মধ্যস্থতায় সেই বাকযুদ্ধ সাময়িক থামে। যদিও সেই বৈঠকে ছিলেন না সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের তরফ থেকে ছিলেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে ও রাহুল গান্ধী। বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেজরিওয়ালের দলকে। লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে হঠাতে মোট ২৪টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেঙ্গালুরুর বৈঠকে। ১৭-১৮ জুলাই এই বৈঠক হবে। আগের রাতে বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করছেন খোদ সোনিয়া।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে ১২ জুলাই বৈঠকের দিন স্থির হয়েছে। কিন্তু পরে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার জানান, ১৩-১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলের বৈঠক হবে। মহারাষ্ট্র মহানাটকের জেরে বেঙ্গালুরুর পিছতে পারে বিরোধী জোট বৈঠক- এই জল্পনা যখন রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে তখনই নয়া দিন ঘোষণা করে কংগ্রেস। ১৭ ও ১৮ তারিখ- ২দিন ধরে বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। জানিয়ে দেন কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ (Jayram Ramesh)।

আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার রণকৌশলকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে বিজেপি-বিরোধী জোট। ২৩ জুন পাটনায় নীতীশ কুমারের বাসভবনে প্রথম বৈঠকে এই বিষয় নিয়েই প্রধানত চর্চা হয়। এই বৈঠকের শেষেই পরবর্তী বৈঠকের কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই এনসিপি-তে ভাঙনে জোটের উপর প্রভাব ফেলবে বলে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে ১৭ ও ১৮ জুলাই বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। বিরোধীদের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজনও করেছেন সোনিয়া। এবার কোন নতুন বার্তা এই বৈঠক থেকে দেওয়া হয়- সেটাই দেখার।
