পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ফের বিরোধীদের দাপাদাপিতে উত্তপ্ত রাজ্য। নির্বাচনে হারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে অশান্তির অভিযোগ বিরোধীদের। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে (Coochbehar) নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রাণ গেল আরও ২ জনের। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়ন্ত বর্মন ও লতিফ মিঞা নামে আরও ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তবে ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা জেলাজুড়ে অব্যাহত জেলা জুড়ে।

পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন বিকেলে মধ্য শীতলকুচি গ্রামের একটি বুথে বোমাবাজিতে জখম হন তৃণমুল কর্মী (TMC) লতিফ মিঞা। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর মারা যান তিনি। অন্যদিকে, গত সোমবার অর্থাৎ নির্বাচনের আগেরদিন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের শালবাড়িতে জখম হন ৩ বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার জয়ন্ত বর্মনের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এছাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের পুকুরিয়ার মহারাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও। এলাকার বেশকিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ভোটের ফল ঘোষণার পরেই সেখানে বেঁধে যায় গোলমাল। এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ পিকেট। এই ঘটনায় কংগ্রেসের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই বুথে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হন। তারপরই তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালান হয়েছে। পুলিশ উভয় পক্ষের মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কংগ্রেস নেতা তথা এলাকার জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী, শেখ ওয়াজুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে আসছিল তৃণমূল।
