অনন্ত,উপেন্দ্র নাকি নগেন্দ্র? রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর নাম নিয়ে বিভ্রাট

রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী পদের পেয়েছেন অনন্ত মহারাজ। কিন্তু গোঁড়াতেই তাঁর নাম বিভ্রাট! অনন্তর আসল নাম নাকি উপেন্দ্র। মহারাজও তাঁর স্বঘোষিত। শুধু তৃণমূল নয় এমনটা দাবি করেছেন অনেকেই।কী বলছেন তাঁরা?



আরও পড়ুনঃঅনন্ত মহারাজের স্থানীয় স্তরে পরিচিতি নেই: বিজেপি রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিমান

সিতাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার অভিযোগ, অল্প বয়সে প্রেম হয়েছিল অনন্তর। প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য তাঁর চাকরির খুব প্রয়োজন ছিল। মৃত বন্ধু নগেন্দ্র রায়ের মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন ‘মহারাজ’। সেই থেকে তাঁর নাম নগেন্দ্র। আসলে তাঁর নাম ছিল উপেন্দ্র। অবশ্য অনন্ত মহারাজের দাবি, তৃণমূল মিথ্যা প্রচার করছে। তাঁর কথায়, “নগেন্দ্রদার কাছে আমি পড়াশোনা করেছি। আমি চাকরি পাওয়ার পর ওঁর মৃত্যু হয়েছিল। যে সব কথা রটানো হচ্ছে তা একেবারেই মিথ্যে”।

বিতর্ক আরও উস্কে মৃত নগেন্দ্রর স্ত্রী কুসুমলতা রায় বলেছেন, উনি আমার স্বামীর সার্টিফিকেট নিয়েছেন কি না, তা বলতে পারব না। তবে অনন্ত মহারাজকে আমরা ‘উপেন’ নামেই চিনি। মৃত নগেন্দ্র রায়ের স্ত্রী আরও বলেন, উনি যখন আমাদের বাড়িতে আসতেন তখন ওঁকে ‘উপেন্দ্র’ নামেই আমরা চিনতাম। অনন্ত বা নগেন্দ্র নামে নয়। ওঁর নাম বিভ্রাট যাই থাক, আমার স্বামীর নাম নগেন্দ্র রায়। শ্বশুরমশাইয়ের নাম হল গগন।অনন্ত হলেন স্বঘোষিত মহারাজ। কোচবিহারের রাজবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। তাঁর জন্ম গোসানিমারিতে। তাঁরা চার ভাই ও চার বোন। অনন্তর দাদা জুরিন্দ্রনাথ বর্মন এখনও গোসানিমারিতেই থাকেন। আরও এক দাদা নিবারণ বর্মন থাকেন আলিপুরদুয়ারে। তাঁর ভাই গুপীন বর্মন এখন থাকেন অসমে।শুধু বসুনিয়া নয়, অনেকেই এখন বলছেন যে গোসানিমারিতে উপেন্দ্র নামে পরিচিত ছিলেন অনন্ত। পরে কাজের খোঁজে তিনি অসমে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি তেল কোম্পানিতে নগেন্দ্র রায় নাম নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

অনন্তর দাদা জুরিন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, ছোটবেলায় তাঁরা খুব অভাবের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন। কাজের খোঁজে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিল অনন্ত। সেই সব জায়গায় অনেকেই অনন্তকে একাধিক নামে ডাকত। তাই হতে পারে অনন্ত কারও কাছে উপেন্দ্র, আবার কারও কাছে নগেন্দ্র আবার কারও কাছে লম্বু কিংবা মহারাজ নামে পরিচিত। তবে বসুনিয়ার দাবি নিয়ে জুরিন্দ্র কোনও কথা বলতে চাননি।

তবে বিজেপির ঘোষণা করা রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম অনন্ত মহারাজই ছিল। নগেন্দ্র রায় নামে তিনি মনোনয়ন জমা করেছেন। তাঁর ভোটার কার্ড ও প্যানকার্ডেও এই নামই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অসমের চিরাং জেলার বাসিন্দা হিসেবে তিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন। অনন্ত মহারাজের নাম নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি ঘুরপথে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ নিয়েও সরগরম রাজনীতি।

Previous articleফের রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
Next articleরবির আকাশে মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি! জেলায় জেলায় বৃষ্টি