নিজেরা বসে সমস্যা মেটান: কেজরিওয়াল ও উপরাজ্যপাল সংঘাত প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত

দিল্লির শাসন ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে সংঘাত জারি রয়েছে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা ও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের(Arvind kejriwal) মধ্যে। একাধিকবার নানা ইস্যুতে দ্বন্দ্বের জেরে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে দুপক্ষ। পাশাপাশি ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অর্ডিন্যান্স(Delhi Audinance) জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। এহেন পরিস্থিতিতে এবার এক মামলায় দুই তরফের সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।

দিল্লির বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ার পার্সন নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় সোমবার শুনানি চলছিল সুপ্রিমকোর্টে। সেই মামলাতেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনাকে আদালতের তরফে জানানো হয়, আমরা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। দুইপক্ষ নিজেরা আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার দ্রুত নিস্পত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, যে হেতু কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ২৩৯এএ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, তাই সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি স্থানান্তরিত হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ডিইআরসি বা দিল্লি ইলেক্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি কুমারকে নিয়োগ নিয়ে নতুন করে মতবিরোধ তৈরি হয় উপরাজ্যপাল ও সরকারের মধ্যে। যা শেষ পর্যন্ত গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এর আগের শুনানিতে এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। এরপর আজকের শুনানিতে সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। এর পর হঠাৎ গত ১৯ মে গভীর রাতে অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাতে বলা হয়, ‘জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হচ্ছে। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। অধ্যাদেশে জানানো হয়, (দিল্লির) মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন। সদস্য হিসেবে থাকবেন মুখ্যসচিব এবং প্রিন্সিপাল স্বরাষ্ট্রসচিব। নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত এই কর্তৃপক্ষ ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করবেন। মতবিরোধ হলে শেষ কথা বলবেন উপরাজ্যপাল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সংসদে এই বিল আটকাতে সব বিরোধী দলগুলির সমর্থন আদায়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।

Previous articleবিরোধী জোট দেখে হৃদকম্প! মঙ্গলেই NDA-এর বৈঠকে বসছেন মোদি-শাহ-নাড্ডারা
Next articleরাজ্য সরকারের উদ্যোগে ALS রো.গের গবেষণা শুরু হল বাংলায়