বিরোধী জোট দেখে হৃদকম্প! মঙ্গলেই NDA-এর বৈঠকে বসছেন মোদি-শাহ-নাড্ডারা

যত শক্তিশালী হচ্ছে হচ্ছে কেন্দ্রের বিরোধী জোট, ততই বিজেপির (BJP) পায়ের তলার মাটি সরছে। আর সেই কারণেই, সেদিন বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-বিরোধী ২৪টি দল বৈঠকে বসছে, সেই দিনই দিল্লিতে NDA -জোটের বৈঠকের ডাক দিল বিজেপি। বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, “সমস্যায় পড়লে আমরা নিজেদের দুর্বলতা খুঁজি।” নাড্ডার দাবি তাঁদের বৈঠকে ৩৮টি দল উপস্থিত থাকবে। কিন্তু কারা তারা? বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগেও নাম জানাতে পারল না বিজেপি।

ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে বিরোধী জোট। প্রথম বৈঠকে পাটনায় (Patna) হাজির ছিল ১৬টি অ-বিজেপি দল। আর বেঙ্গালুরুর বৈঠকে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬-এ। এই দেখে ভয়ে পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় বৈঠকের আগেই হঠাৎ করে এনডিএ শরিকদের কথা মনে পড়ে গিয়েছে বিজেপির। সেই কারণে ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের দিনই তড়িঘড়ি এনডিএ-র বৈঠকে বসছে রাজধানী দিল্লির অশোকা হোটেলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে মহারণে ২৬ বিরোধী দল বনাম এনডিএ-র ৩৮ দল।

মঙ্গলবার, বিরোধীরা যখন আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি-কে হঠানোর কৌশল নিয়ে রূপরেখা তৈরি করবে, সেদিনই সন্ধেয় দিল্লিতে শক্তি প্রদর্শনে আলোচনায় বসবেন মোদি-শাহ-নাড্ডারা, সঙ্গে শরিকদল। বিরোধীদের পক্ষে ২৬ দলের সমর্থন রয়েছে দেখে বিজেপিও দাবি করেছে, তাদের বৈঠকে ৩৮টি রাজনৈতিক দল হাজির থাকবেন। “সমস্যায় পড়লে আমরা নিজেদের দুর্বলতা খুঁজি।”- বৈঠক প্রসঙ্গে এই কথা জানান নাড্ডা। তার অর্থ তিনি মেনে নিচ্ছেন, যে তাঁরা সমস্যায় রয়েছেন। আর শরিকদের পাত্তা না দেওয়া তাঁদের দুর্বলত!

আরও পড়ুন- রাজ্যসভার ভোটে ‘প্রত্যাশিত’ জয়! বিধানসভা থেকে শংসাপত্র পেলেন ৭ সাংসদ

তবে বিজেপির শরিক দলদের সক্রিয়তা নিয়ে এনডিএ-র অন্দরেই প্রশ্ন রয়েছে। যে দলগুলি এতদিন গেরুয়া শিবিরে সেভাবে কল্কে পায়নি, এমনকী সংসদের অধিবেশন উপস্থিতিও নগন্য সেই জোট সঙ্গীদের এবার কাছে টেনে নিচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধী ঐক্য দেখে এবার টনক নড়েছে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের। রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি-কে ২০১৯ সালে পাত্তা দেয়নি বিজেপি। এমনকী, চিরাগ পাশোয়ানকে মন্ত্রীও করেনি। বিজেপি শক্তি প্রদর্শনের জন্য সেই দলকেও শামিল করতে বৈঠকের চিঠি পাঠিয়েছে। এরই সঙ্গে সদ্য নীতীশের সঙ্গ ছেড়ে আসা জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আম মোর্চা, উপেন্দ্র কুশওয়ার রাষ্ট্রীয় সমাজ পার্টি এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি-কেও ডাকা হয়েছে বৈঠকে। যা থেকে স্পষ্ট, ২০২৪-এর আগে বিরোধী জোট দেখে ভয় ধরায় নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বিজেপির কাছে।

 

 

 

Previous articleকলকাতা লিগে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে হারাল ২-৪ গোলে
Next articleনিজেরা বসে সমস্যা মেটান: কেজরিওয়াল ও উপরাজ্যপাল সংঘাত প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত