বাঁশি যেন থামতেই চায় না, প্রতিপক্ষকে ২৭ গোলের মালা পরালো বায়ার্ন মিউনিখ!

প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটেই ১৮-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টমাস টুখেলের ছেলেরা

গোলের বাঁশি যেন থামতে চাইছে না। বাঁশি বাজাতে বাজাতে ক্লান্ত রেফারিও। দর্শকদের অবস্থা তার থেকেও করুণ। গোলের হিসেব রাখতে গিয়ে সব কিছু গুলিয়ে ফেলছিলেন তারা। ম্যাচ শেষে কে কয়টি গোল করেছেন তা নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হল। কী ভাবছেন পাড়ার কোনও ম্যাচের কথা বলছি ? না । আসলে এতক্ষণ বায়ার্ন মিউনিখ ও হোটাফ ইগানের ম্যাচের কথাই বলছিলাম।

গতকাল মঙ্গলবার জার্মানির নিচের সারির দলটিকে নিয়ে কার্যত বায়ার্নের খেলোয়াড়রা যা করলেন তাকে ছেলেখেলা বললেও কম বলা হয়। হোক না প্রদর্শনী ম্যাচ। কিন্তু ২৭ গোলের মালা পরানো! না ভুল শুনছেন না। স্কোরলাইন ঠিকই আছে।

আগামী ১২ অগস্ট জার্মান সুপার কাপে লাইপজিগের বিরুদ্ধে মরসুমের প্রথম ম্যাচে নামছে বায়ার্ন। তার আগে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলছেন জামাল মুসিয়ালা-সের্গি গিনাব্রিরা। মঙ্গলবার রাতে নেমেছিলেন হোটাফ ইগানের বিরুদ্ধে।ম্যাচের তিন মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে গোল উ‍ৎসবের সূচনা করেন বায়ার্নের জামাল মুসিয়ালা। আর তার পর থেকে একের পর এক গোল। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটেই ১৮-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টমাস টুখেলের ছেলেরা।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও নয়বার ইগানের জাল কাঁপান মুসিয়ালা-সের্গি গিনাব্রিরা।পাঁচটি করে গোল করেছেন জামাল মুসিয়ালা, ম্যাথাস টেল। তিনটি করে গোল করেছেন সের্গি গিনাব্রি-মার্সেল সাবিতেজ।

তবে অবাক করা তথ্য হলো, হোটাফ ইগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেই গোলের বন্যা বইয়ে দেন বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। ২০১৮ সালে প্রথমবার বায়ার্ন জিতেছিল ২০-২ গোলে। পরের বছর ২০১৯ সালে ২৩-০ গোলে। আর মঙ্গলবার ২৭-০ গোলে জিতে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে বাভারিয়ানরা। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৭০ বার বল জড়িয়েছে টমাস টুখেলের দল। ভাবা যায়!