নাবা*লিকার উপর পাশ*বিক অত্যা*চার, গরম খুন্তির ছ্যাঁ*কা কাকিমার!

নাবালিকার পড়াশোনা করার অদম্য ইচ্ছা, গোঘাটের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন সৃজনী। দাদু ও ঠাকুমার কাছেই থাকতেন তিনি।

সুমন করাতি, হুগলি

১৩ বছরের সৃজনী চট্টোপাধ্যায় (Srijani Chatterjee) মা বাবাকে হারিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর মা ছেড়ে চলে গেছেন। তাই হঠাৎ করে অনাথ হয়ে যাওয়া নাবালিকাকে নিজেদের বাড়ির কাজের লোক হিসেবে ব্যবহার করতেন কাকা-কাকিমা। পাশাপাশি চলত পাশবিক ও অমানবিক অত্যাচার। এবার তা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছেন সবাই। নাবালিকার পিঠে এবং দেহের বাকি অঙ্গে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা আর ফোস্কার দগদগে ঘা। যন্ত্রণায় ছটফট করেছে মেয়েটি কিন্তু মুখে কিছু বলেন নি। কারণ তাহলে অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যেত। কিন্তু এই পৃথিবীতে যে এখনও মানবিকতা বেঁচে আছে তাঁর প্রমাণও মিলেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি হুগলির গোঘাট থানার (Goghat Police station, hooghly) ওসি শৈলেন্দ্র নাথ উপাধ্যায় (Shailendranath Upadhyay)নিজেই উদ্যোগ নিয়ে এই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছেন। পাশাপাশি অমানবিক কাকিমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নাবালিকার পড়াশোনা করার অদম্য ইচ্ছা, গোঘাটের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন সৃজনী। দাদু ও ঠাকুমার কাছেই থাকতেন তিনি। কিন্তু দাদুও বেশ কয়েক বছর আগেই মারা যায়। মেয়েটির উপর নিত্য অত্যাচার চলত বলে জানা যাচ্ছে। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি কিন্তু খাবার চাওয়ার উপায় নেই। পান থেকে একটু চুন খসলেই বেড়ে যেত অত্যাচারের মাত্রা। ব্যথা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মেয়েটার অস্থিরতা নজর এড়ায়নি স্কুলের শিক্ষিকাদের। এরপর সবটা জানতে পারেন তাঁরা। পিঠে ব্যাগ নিতে পারতো না মেয়েটা ফোস্কা ফেটে যাওয়ার যন্ত্রণায়। এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা থানায় যোগাযোগ করেন। গোঘাট থানার ওসি নিজে ছুটে যান এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। অমানবিক সেই কাকিমা সারদামনি চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তিনি নাবালিকার যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। গোটা ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকা জুড়ে।

 

 

Previous articleমণিপুরের নার.কীয়-কাণ্ডে অবশেষ গ্রেফ.তার ১, এখনও অধরা মূল চ.ক্রী
Next articleআজ থেকে শুরু ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট, হোয়াইটওয়াশ’ই লক্ষ‍্য রোহিতদের