Saturday, November 22, 2025

কুসং.স্কার দূরে ঠেলে কন্যার প্রথম ঋতু.মতী হওয়া উৎসবের মেজাজে পালন করল পরিবার

Date:

Share post:

দক্ষিণ ভারতে এই রীতি বহু প্রাচীন। এবার সেই রীতি পালন করলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এক সঙ্গীত শিক্ষক। কন্যার রজঃস্বলা হওয়ায় উৎসব পালন করলেন তিনি। কেক কেটে, বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে পালিত হল মেয়ের প্রথম ঋতুমতী হওয়া। উপহারে ভরিয়ে দিলেন তাকে। বার্তা দিলেন অন্ধ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।

ঋতুস্রাব বা পিরিয়াড বিষয়টিকে ঢেকেচেপে সমাজের প্রচলিত রীতি। অথচ এটি নারী শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জৈবিক ক্রিয়া। আছে শুভ-অশুভর ট্যাবুও। কিন্তু সেই প্রাচীন ধ্যানধারনা ভেঙে দিলেন উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরের কাশীপুর সিটি এলাকার জিতেন্দ্র ভাট। কিশোরী কন্যার প্রথম ঋতুস্রাবের দিনটিকেই উৎসবের মেজাজে পালন করলেন জিতেন্দ্র-সহ ভাট পরিবার। সামলি হন প্রতিবেশিরাও।

উৎসবের ছবি ও ভিডিও নিজের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন জিতেন্দ্র। এই বিষয়ে সঙ্গীত শিক্ষক জানান, কুসংস্কার দূর করতেই তাঁর এই উদ্যোগ। ঋতুস্রাব নিয়ে অযথা মেয়েদের হয়রান করা হয়। এটাকে একটু গোপন বিষয় করে রাখা হয়েছে। অথচ এটি একটি অতি স্বভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যও, ঋতুস্রাবের সঙ্গে শুচি-অশুচির কোনও সম্পর্ক নেই। এই বিষয়ে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও প্রচার। এর সেই কাজটিই করেছেন জিতেন্দ্র।

তবে, আজ থেকে বহু যুগ আগে বাংলার যুগপুরুষ রামকৃষ্ণ পরহংসদেব এই নিয়ে ঋতুস্রাবের শুচি-অশুচি ভেদেভেদের উর্ধ্বে মত দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তিনি স্বয়ং সেকথা জানিয়েছিলেন সারদামাকে।

 

 

 

spot_img

Related articles

রিল-রিয়েল একাকার! ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-এ থানায় ছুটলেন মদন

একেই বোধহয় বলে, "ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে"। "দাদা একটু আসুন, আপনি না এলে হবে না", "আমার নির্দোষ...

প্রিমিয়ারেই জমজমাট গৃহকর্মীদের রোজনামচার ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী ওঁরা রোজ আসেন, রোজ কাজ করেন, সমস্ত রকম নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পরিষেবা দেন। কিন্তু ওঁদের নিয়ে গল্প...

টেকনিশিয়ানদের টাকা বাকি রেখে কুৎসা রটাচ্ছেন রুদ্রনীল! তথ্য দিয়ে ধুয়ে দিলেন স্বরূপ

নিজে টাকা বাকি রেখে উল্টে ফেডারেশনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)! শুক্রবার সাংবাদিক...

কাজের চাপে শীতলকুচিতে মর্মান্তিক মৃত্যু বিএলও-র! পরিবারের পাশে রাজ্য

অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই...