Saturday, December 6, 2025

লোকসভা ভোটে হালি পানি পেতে RSS-র দ্বারে বিজেপি! বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে সুকান্ত-শুভেন্দু

Date:

Share post:

সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ভরাডুবি হয়েছে দলের। লাগাতার কুৎসা-অপপ্রচার করেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে বাংলার মানুষ দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC)। আর সেই হারের জ্বালা সহ্য করতে না পেরেই ফের নয়া ফন্দি খুঁজছেন গেরুয়া শিবিরের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। আর বছর ঘুরলেই চব্বিশের নির্বাচন (Loksabha Election)। তার আগেই একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত ব্যাকফুটে বিজেপি (BJP)। আর সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই বারবার দিল্লি ছুটছেন বঙ্গ বিজেপির হাইকম্যান্ড। তবে বিজেপি মানেই যে আরএসএস-র শাখা সংগঠন তা সকলেরই জানা। যতই বিজেপি তা মুখে অস্বীকার করুক না কেন মনেপ্রাণে আরএসএস-র (RSS) কট্টর ‘হিন্দু প্রীতি’কেই সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। আর সেকারণেই দেশের জনগণের থেকে ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে গেরুয়া দাপাদাপি। আর এমন পরিস্থিতিতে বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন আরএসএস কর্তারা।

সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। তার জন্য রবিবারই দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সোমবার সকালের মধ্যে রাজধানী শহরে পৌঁছনোর কথা‌ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। তবে কোথায় কখন এই বৈঠক হবে, সেই বিষয়ে বিজেপি বা আরএসএস নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, এটা একেবারেই রুটিন এবং অভ্যন্তরীণ বৈঠক। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আর যাই হোক বাংলার মানুষের মনে যে কোনওভাবেই বিজেপি নেই তা আরও একবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। তাই পঞ্চায়েতের জ্বালা লোকসভাতে মিটবে কী না তা সময় বলবে। কিন্তু দলের সংগঠনের এমনই অবস্থা যে বঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেকারণেই দলের ছোট সিদ্ধান্ত নিতে গেলেও বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দিল্লি ছুটে যেতে হচ্ছে।

এদিকে সোমবারের বৈঠকে হাজির থাকার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষের। থাকবেন সর্বভারতীয় বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও। রাজ্য বিজেপির তিন প্রধানকে বৈঠকে ডাকা হলেও অন্য রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের বৈঠক নিয়মিত হয়ে থাকে। সংগঠনের ভাষায় এটিকে ‘সমন্বয় বৈঠক’ বলা হয়। আগে গোটা দেশের জন্য একটিই বৈঠক হত। সেখানেই সব রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানরা যোগ দিতেন। এখন সংগঠন বড় হয়ে যাওয়ায় প্রতিটি রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা বৈঠক হয়। অনেক সময়ে একদিনে একাধিক রাজ্যের নেতাদেরও ডাকা হয়। তবে সোমবারের বৈঠকে অন্য কোনও রাজ্যের নেতাদের ডাকা হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

 

spot_img

Related articles

সংহতি দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একতার বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর 

সাম্প্রদায়িকতার আগুনে জ্বলছে দেশ, সম্প্রীতির মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাংলা থেকে লড়াইয়ের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।বাবরি মসজিদ...

কোচবিহারে তৃণমূলের মিছিলে আচমকা হামলা, অভিযোগের আঙ্গুল বিজেপির দিকে

কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC ) মিছিলে হামলা, অভিযোগের আঙুল বিজেপির (BJP)...

উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অমিতাভ! এসআইআর বিভ্রাটের শিকার খোদ বিগ-বি

ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া (special intensive revision) চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের। আরে সেই রিভিশন পর্বেই উঠে এল...

শীতের কামড় কলকাতায়! শনির সকালে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট 

উইকেন্ডে ভরপুর শীতের (Winter) আমেজ। এক ধাক্কায় পারদ নামল ১৪ ডিগ্রির ঘরে। শনির সকালে কলকাতার তাপমাত্রায় দিনটিকে মরশুমের...