হিমালয়ের বুকে দেখা মিলল ৬০ কোটি বছরের প্রাচীন সমুদ্রের!

লক্ষ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকেই হিমালয়ের উৎপত্তির বিষয়ে প্রাচীন ভূতাত্ত্বিকরা সিলমোহর দিয়েছেন। তাই সেই পর্বতের পরতে পরতে মহাসাগরের অস্তিত্ব লুকিয়ে থাকা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।

এই মহাবিশ্বে একাধিক বিস্ময় ছড়িয়ে আছে। এখনও তার অনেকটাই অনাবিষ্কৃত। প্রতিদিন হিমালয়ের (Himalayan)প্রতিটি প্রান্তে সন্ধান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এবার হিমালয়ের (Himalaya) বুকে খোঁজ মিলল ৬০ কোটি বছরের প্রাচীন সমুদ্রের! যদিও মহাসাগরের জল এখন অতীত, সবটাই জীবাশ্ম (Fossils)। ভারতীয় ও জাপানি বিজ্ঞানীদের (Indian And Japanese Scientists) মতে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালার পাথর, খনিজের মধ্যে এখন নাকি জীবাশ্ম হয়ে রয়েছে সেই মহাসাগরের চিহ্ন।

লক্ষ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকেই হিমালয়ের উৎপত্তির বিষয়ে প্রাচীন ভূতাত্ত্বিকরা সিলমোহর দিয়েছেন। তাই সেই পর্বতের পরতে পরতে মহাসাগরের অস্তিত্ব লুকিয়ে থাকা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, জাপানের নিগাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nigata University)বিজ্ঞানীরা এই সমুদ্র আবিষ্কার করেছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত জায়গাতেই আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ কোটি বছর আগে হিমালয়ের সেই জায়গাতেই ছিল এক মহাসাগর (ancient ocean)। পশ্চিম কুমায়ূন হিমালয়ে অর্থাৎ অমৃতপুর থেকে মিলম হিমবাহ এবং দেরাদুন থেকে গঙ্গোত্রী হিমবাহ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার পাথরে মিলেছে মহাসাগরের অস্তিত্বের প্রমাণ।ভূ-আন্দোলনের ফলে ভূ-ভাগ দুটি পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকলে টেথিস সাগরে সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। তারপর সেখান থেকে ধীরে ধীরে তা উপরের দিকে উঠতে থাকে এবং হিমালয় সৃষ্টি হয়। সাগর হারিয়ে আপাতত তা ক্রিস্টালে পরিণত হয়েছে। তবে অক্সিজেনেশনের মাধ্যমে সেই জলের অস্তিত্ব এখনও কিছু জায়গায় রয়ে গেছে। আইআইএসসির সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্সেসের পিএইচডি পড়ুয়া প্রকাশচন্দ্র আর্য ‘প্রিক‌্যাম্ব্রিয়ান রিসার্চ’ (Pre Cambrian Research)নামে একটি স্টাডিতে তাঁদের এই আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করেছেন।

 

 

Previous articleনজরে সংখ্যা.লঘু ভোট, বিজেপির সহ-সভাপতি পদে AMU’র প্রাক্তন উপাচার্য
Next articleখেলা ঘুরিয়ে দিলেন মন্ত্রী, চা বাগানে সিপিএমের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে আসতেই বোর্ড শাসকের